ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কীর্তনখোলা নদীর তীরের মাটি যাচ্ছে ইটভাঁটায়, হুমকিতে বেড়িবাঁধ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ০১:০১, ১৯ মে ২০২৫

কীর্তনখোলা নদীর তীরের মাটি যাচ্ছে ইটভাঁটায়, হুমকিতে বেড়িবাঁধ

ছবি: জনকণ্ঠ

বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তীর থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাঁটায় ব্যবহারের জন্য। ইতোমধ্যে অনেক ইটভাঁটার মালিক ইট তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ফলে নদী তীরবর্তী ফসলি জমি ও চরাঞ্চলের মাটি প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে ইটভাঁটায়। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলায় বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ইটভাঁটা রয়েছে। এসব ইটভাঁটার মালিকরা কখনও ফসলি জমি কিনে, আবার কখনও অবৈধভাবে নদীর চর থেকে মাটি কেটে সংগ্রহ করছেন দিনে বা রাতে নির্বিচারে। এতে করে নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধ ও আশপাশের বসতঘর হুমকির মুখে পড়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ফুজি ব্রিকস, সিগমা ব্রিকস, সিকো ব্রিকসসহ একাধিক ইটভাঁটার জন্য কীর্তনখোলা নদীর পাড় থেকে প্রতিনিয়ত মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি।

সূত্র জানায়, জরুরি ভিত্তিতে মাটি কাটা বন্ধ করা না হলে যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে বেড়িবাঁধসহ আশপাশের ঘরবাড়ি।

এলাকাবাসী জানান, প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে নদীর তীর থেকে মাটি কেটে ইটভাঁটায় বিক্রি করেন প্রভাবশালীরা। এতে করে ফসলি জমি নদীভাঙনের শিকার হয়। এবছরও বর্ষা শুরুর আগেই মাটি কাটা ও বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।

সূত্র মতে, গত কয়েকদিন ধরে ওই স্থান থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে ট্রলারে করে চরমোনাই ও চরকাউয়া এলাকার ইটভাঁটাগুলোতে নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফুজি ব্রিকসের মালিক নুরু মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “জমিগুলো কিনেই মাটি কাটা হচ্ছে।” তবে নদীর পাড়ের জমি থেকে মাটি কাটা কতটুকু যৌক্তিক এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সুস্পষ্ট উত্তর না দিয়ে চায়ের আমন্ত্রণ জানান।

সার্বিক বিষয়ে বরিশাল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহারুল ইসলাম বলেন, “নদীর পাড়ের জমি থেকে কেউ মাটি কাটতে পারবে না। কেউ যদি এমনটি করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

শহীদ

×