ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৪ মে ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২

জনকণ্ঠে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে অবশেষে অপসারণ হচ্ছে সেই গাছ 

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ৩ মে ২০২৫; আপডেট: ১৩:৪৪, ৩ মে ২০২৫

জনকণ্ঠে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে অবশেষে অপসারণ হচ্ছে সেই গাছ 

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ

দৈনিক জনকণ্ঠে প্রতিবেদন  প্রকাশ হওয়ার পরে অবশেষে  অপসারণ করা হচ্ছে ঝড়ে ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের তারে আটকা পড়া গাছটি। জনবহুল এলাকায় ঝড়ে ভেঙ্গে  একটি গাছ বিদ্যুতের তারে ঝুলে ছিল ৬ দিন ধরে। পথচারী ও আশেপাশে দোকানিরা ঝুঁকিতে থাকলেও অপসারণে জন্য ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। দোকানিরা জেলা পরিষদ ও বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করেও পায়নি প্রতিকার। 

শুক্রবার (২ মে) দৈনিক জনকণ্ঠে “কুড়িগ্রামে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ বিদ্যুতের তারে, নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা” এই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার ১ দিন পরে কাটা হচ্ছে গাছটি। ৩ এপ্রিল (শনিবার) ত্রিমোহনী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে গাছটি কেটে অপসারণ করা হচ্ছে। কাপড় ব্যবসায়ী কামরুল বলেন, ‘গাছটি কাটায় এখন ভালো লাগছে। আমরা অনেক দিন থেকে জেলা পরিষদে, বিদ্যুৎ অফিসে ধন্না দিয়েও কাজ হচ্ছিল না। জনকণ্ঠে প্রতিবেদন হওয়ার পরে  মূলত জেলা পরিশোধ আজ গাছ কাটার ব্যবস্থা নিয়েছে।’

উল্লেখ্য, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ত্রিমোহনী বাজারের আধুনিক ট্রেইলার্সের সামনে রাস্তায় একটি কদম গাছ গত ২৬ এপ্রিল ঝড়ে ভেঙ্গে বিদ্যুতের তারে আটকে যায়। গাছ অর্ধনমিত হওয়ার কারণে ২ দিন যাবত বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ। ওই অবস্থায় গত ৪ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিভাগ বিদুৎ সচল করে।

দোকানিরা জেলা পরিশোধ ও বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করে। কিন্তু তাদের কোন অভিযোগ কর্ণপাত করেনি ওই দপ্তরগুলি। জেলা পরিশোধ তাদের গাছ কর্তনের বাজেট নাই তাই গাছ কাটতে অপারগতা প্রকাশ করে। নর্দান  ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো), কুড়িগ্রাম তাদের লোকজন সংকট তাই গাছটি তাদেরই কেটে নিয়ে যেতে বলে।

মনোয়ার হোসেন লিটন/মিরাজ খান

×