সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের খালে দাঁড়িয়ে আছে সেতু
সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের খালে সুজানগর উপজেলা প্রকৌশল অফিস ১০ লক্ষাধিক টাকার ব্রিজ নির্মাণ করলেও দীর্ঘকাল সংযোগ সড়ক করেনি। সংযোগ সড়কহীন ব্রিজটি ব্যবহার উপযোগী না হওয়ায় গ্রামবাসী নিজেরা খালের মধ্যে মাটির রাস্তা তৈরি করে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ভূমি থেকে অনেক উঁচুতে অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজ নির্মাণের কারণে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় তাদের বিকল্প ব্যবস্থায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০০১-০২ অর্থবছরে সুজানগর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ এ ব্রিজটি নির্মাণ করেন। ঠিকাদার ব্রিজটি নির্মাণের পর সংযোগ সড়ক না করলেও উপজেলা প্রকৌশল অফিস তার সমুদয় বিল পরিশোধ করে। সংযোগ সড়কের অভাবে ব্রিজটি চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় গ্রামবাসী ব্রিজের পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে নানা দুর্ভোগের শিকার হয়ে যাতায়াতে বাধ্য হচ্ছে।
রামকান্তপুরবাসী এ খাল পাড় হয়েই মূলসড়কে উঠে উপজেলা সদর সুজানগর ও চিনাখড়া যাতায়াত করতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে কোনো রকম পারাপার করা গেলেও বর্ষার কয়েক মাস নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে। ব্রিজটি চালু না হওয়ায় কৃষিপণ্য আনা-নেওয়াসহ বাজারজাতকরণে কৃষকদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন।
রামকান্তপুর গ্রামের কৃষক রমজান আলী জানান, সংযোগ সড়ক ছাড়া ব্রিজটি নির্মাণ করায় তাদের দীর্ঘকালের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব দূরের কথা ব্রিজটি বর্ষাকালে তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে নানা দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। দুলাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাজাহান এ ব্যাপারে বলেন ভূমি থেকে বেশ উচ্চতায় ব্রিজ নির্মাণ করায় সংযোগ সড়ক করা বেশ সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলেও জানান। সুজানগর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল হক জানান, বেশ কয়েকবছর আগে ব্রিজটি নির্মিত হয়েছে তাই এ ব্যাপারে তার কিছু বলার নেই। তবে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।
পীরগঞ্জে বেহাল সড়ক
নিজস্ব সংবাদদাতা, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, পীরগঞ্জ পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে তিন কিলোমিটার পাকা সড়কের বেহাল দশায় দিন দিন দুর্ঘটনা বাড়ছে। পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তা থেকে উত্তরে কালিহাট পর্যন্ত শহিদ আবু ইসাহাক সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানা- খন্দে ও বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গিয়ে সড়কটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এ সড়কের ধারে পুলিশ স্টেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সরকারি হাসপাতাল, সরকারি কলেজ, সমাজ সেবা, আনসার ভিডিপি অফিস ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন সরকারি দপ্তর অবস্থিত। প্রতিদিন অসংখ্য লোকজন ও যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে।
এ ছাড়া এ সড়ক দিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল করে। অথচ এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি কর্তৃপক্ষ মেরামত বা সংস্কার করার উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে এ সড়কের তিন কিলোমিটার পথ যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হওয়া এবং প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হওয়াসহ মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়েই চলছে।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকরামুল হক জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম জানান, এ সড়কটি দ্রুত মেরামত করার ব্যাপারে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।