ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১

তিন দিনের ছুটিতে মুখরিত পর্যটন এলাকা

বান্দরবান সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তিন দিনের ছুটিতে মুখরিত পর্যটন এলাকা

মুখরিত পর্যটন এলাকা

বন্দরবানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ও সাপ্তাহিক টানা ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত হয়েছে পর্যটন স্পট গুলো। পাহাড়ে চলমান পরিস্তিতির কারণে পর্যটন কেন্দ্র গুলি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পর্যটকের ভিড় থাকায় খুশি ব্যবসায়ীরা। তবে পাহাড়ে চলমান সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে শীতের মৌসুমের মতো এত বেশি পর্যটকের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়নি। 

সরেজমিনে জানা যায়, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী’সহ সাপ্তাহিক ছুটিতে বান্দরবানের জেলা প্রশাসন পরিচালিত নীলাচল, মেঘলা, প্রান্তিক লেক, চিম্বুক, নীল দিগন্ত ও  শৈলপ্রপাত, নীলগিরিসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে ভয়াবহ বন্যয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন উপজেলায় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় পর্যটন ব্যবসায় ধস নামে। গেল কয়েক বছরে জেলার পর্যটন খাতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা ব্যবসায়ীরা এবং বান্দরবানে ভ্রমণ প্রত্যাশী পর্যটকদের সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে। 

পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ২৮সেপ্টেম্বর থেকে ৩০সেপ্টেম্বর মোট তিনদিনের টানা ছুটিতে বান্দরবনে পার্বত্য জেলার পর্যটন স্পট গুলোতে ভ্রমণ প্রত্যাশীদের কিছুটা হলেও আনাগোনা বেড়েছে। এছাড়াও জেলার বেশ কিছু হোটেলের অধিকাংশ কক্ষ আগাম ছুটির অনেক আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রেখে ছিলেন পর্যটকেরা। দীর্ঘ সময় পর পর্যটন ব্যবসায় ক্ষতি গুনতে গুনতে হঠাৎ করে এই জেলায় পর্যটকের আগমন ঘটায় খুশি সকল স্থরের ব্যবসায়ীরা। 

বান্দরবানের হোটেল হিলটনের ম্যানেজার মো. আক্কাস উদ্দিন জানান, এবারের ছুটিতে আমাদের হোটেলের প্রায় ৫০ শতাংশ কক্ষ পর্যটকরা ভাড়া নিয়েছেন। পাহাড়ের চলমান পরিস্থিতির কারণে আমরা যে পরিমানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তা বলে বুঝানো যাবে না।

মেঘলা এলাকার হোটেল নাইট হ্যাভেনের ম্যানেজার মো. ওমর ফারুক বলেন, পাহাড়ে চলমান অস্থিরতার কারণে দীর্ঘদিন আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। কয়েকদিনের ছুটির কারণে আগের মত পর্যটক আসা শুরু করায় আমাদের অনেক খুশি লাগছে। পর্যটকরা আমাদের অতিথি তারা না আসলে আমাদেরও ভালো লাগেনা। বিগত দিনের ক্ষতিগুলো আগামীতে পুষিয়েনিতে পারব বলে মনে করছি। 

এদিকে, আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি বান্দরবান জেলার দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াতে চাঁদের গাড়ির যাত্রীদের বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাঁদের গাড়ি চালকরা। দীর্ঘদিন চাঁদের গাড়িতে যাত্রী না পেলেও এবারের ছুটিতে পর্যটক পাওয়ায় খুশি পরিবহন ব্যবসায়ীরাও। 

এ বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মুজাহিদ উদ্দিন দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, বান্দরবান জেলায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আমাদের নীলাচলের রিসোর্ট গুলোকে সংস্কার করে নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে। বান্দরবানে চলমান বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে কয়েকটি উপজেলার পর্যটন স্পটে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইতোমধ্যে প্রায় নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির স্বাভাবিক হলে পর্যটকদের জন্য সকল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

 

এস

×