
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
আধুনিক ও স্মার্ট বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনের করতে এখাতে জড়িত উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে পাট সমৃদ্ধ জেলা ফরিদপুরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
রবিবার (০৪ জুন) সকালে ফরিদপুরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে বহুমুখী পাটপণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বহুমুখী পাটপণ্যের প্রসার বাড়াতে আরও বেশি হারে দেশে ও বিদেশে পাটপণ্যের প্রদর্শনী করার নির্দেশ দিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, সে দিন আর বেশি দুরে নয় সরকারের সফল উদ্যোগের ফলে বহুমুখী পাটপণ্য সবার হাতে হাতে পৌঁছাতে পারবো।
মন্ত্রী বলেন, পাটের সাথে দেশের প্রায় ০৪ কোটি মানুষ জড়িত। তাই পাটপণ্যের রপ্তানির পাশাপাশি পাটের অভ্যন্তরিন ব্যবহার বৃদ্ধি করতে 'পণ্যে পাটজাত মোরকের বাধ্যতামুলক ব্যাবহার আইন, ২০১০' অনুযায়ী ১৯টা পণ্যে পাটের বস্তার সঠিক ব্যবহার, পাটের বস্তার যোগান ও দেশব্যাপী পরিচালিত অভিযান আরো জোরদার করতে পাট অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনকে আরো আন্তরিক হতে হবে।
তিনি বলেন, পাট মৌসুমে কাঁচাপাট পচাঁতে স্বচ্ছ পানির সমস্যার কথা অনুধাবন করে তিনি বলেন, দরকার হলে সরকারি জলাধার লিজ নিয়ে পাট পঁচাত কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যতো পারেন পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি এখাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রপ্তানি করতে উৎসাহী হবে ।
মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এখন আমাদের আরো উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। সরকার উদ্যোক্তা তৈরি করতে আগ্রহী। কারণ উদ্যোক্তা ছাড়া দেশের কোন ভবিষ্যত নেই।
পাটপণ্যের উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পণ্যের গুনগত মান বাড়ানোয় আরো বেশি মনযোগি হতে হবে। এছাড়াও পণ্য বহুমুখিকরণের পাশাপাশি পাটপণ্যের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং সোনালী আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক পজ্ঞাপন জাড়ি করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে, পাটপণ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। সে লক্ষ্যে পাটখাতের অংশীজনসহ বছরব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও বিভাগীয় শহরে পাট ও পাটজাতপণ্য প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
এমএম