ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নোয়াখালী-৫

ওবায়দুল কাদেরের শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই

গিয়াসউদ্দিন ফরহাদ, নোয়াখালী

প্রকাশিত: ০০:০৭, ৩১ মার্চ ২০২৩

ওবায়দুল কাদেরের শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই

ওবায়দুল কাদের ও হাসনা মওদুদ

কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ২৭৩ নম্বর আসন নোয়াখালী-৫। জেলার ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত এই আসনটি। এই আসনের সংসদ সদস্য হচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 
মর্যাদাপূর্ণ এই আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও হেভিওয়েট প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরই একক প্রার্থী। ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে শুধু এ আসনেই নয়, বর্তমানে সারাদেশেই জনপ্রিয় রাজনীতিকের নাম ওবায়দুল কাদের। 
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং কবিরহাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের সব ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-৫ আসনটি। তিন লাখেরও অধিক ভোটার নিয়ে এ আসনে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের দুজন এ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। 
এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান সরকারের সফল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অপরদিকে  তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একক জনপ্রিয়তা এখানে দলটির জন্য সবচেয়ে ভালো দিক। ফ্যাক্টর। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থকরা একাট্টা। অন্যদিকে বিএনপিরও আসনটিতে ভালো ভোট ব্যাংক থাকলেও দলটিতে আছে দ্বিধাবিভক্তি। সাবেক মন্ত্রী মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ এবং তার বাইরের বলয় আসনটিতে স্পষ্ট। জামায়াতকে নিয়েও তাদের আছে শঙ্কা।
অতীতের নির্বাচনগুলোর ভোটের বিশ্লেষণে দেখা যায়, আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিরোধী আওয়ামী লীগ দলগুলোর ভোট সব সময় কাছাকাছি ছিল। জয়-পরাজয়ে ভোটের ব্যবধানও ছিল কম। কিছু সময়ের ব্যবধানে আসনটির চিত্র একদমই পাল্টে গেছে। পুরো জেলার অভূতপূর্ব উন্নয়নের অন্যতম রূপকার বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী ওবায়দুর কাদেরের বিপরীতে বিরোধী দলের প্রার্থীর ঘুরে দাঁড়ানোই একপ্রকার অসম্ভব। 
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনিই এখানে বর্তমান এমপি। বারবার নির্বাচনে তিনি শুধু এমপি নন, প্রতিটি নির্বাচনেই প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের জামানত বাজায়াপ্ত করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের এই হেভিওয়েট নেতা। 
রাষ্ট্রীয় ও আওয়ামী লীগের মতো প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকলেও ওবায়দুল কাদের সবসময় এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর রাখেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি ওবায়দুল কাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। নোয়াখালীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূল কারনই হলো সংখ্যালঘুদের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা। তাঁর স্নেহ, মমতা আর ভালোবাসা দিয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ের গভীরে। একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের ব্যাপক সুখ্যাতিও রয়েছে। 
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত নোয়াখালীর ব্যাপক উন্নয়নের প্রধান রূপকারই হচ্ছেন ওবায়দুল কাদের। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এলাকার স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ আধুনিক চিকিৎসাসেবার ব্যাপক মান ও প্রসার ঘটেছে। এক সময়ের উন্নয়ন বঞ্চিত নোয়াখালীকে আধুনিক নোয়াখালীতে রূপান্তর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ওবায়দুল কাদের।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্থলে তাঁর স্ত্রী হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ এখানে দলটির মনোনয়ন চাইতে পারেন। তিনি ১৯৮৬ সালে এখান থেকে উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর বাইরেও উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম এখানে দল গোছাতে সক্রিয়। মনোনয়ন দৌড়ে তিনিও বেশ এগিয়ে। এছাড়া জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের নামও মনোনয়ন চাওয়ার তালিকায় আছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির জন্য দীর্ঘদিন মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিএনপি নির্বাচনে গেলে হাইকমান্ড যদি চিন্তা করে তখন নির্বাচনে যাব।
ভুল সংশোধন ॥ গত বুধবার প্রকাশিত নোয়াখালী-৩ আসনের মাঠের রাজনীতির রিপোর্টে ছবিতে আক্তার হোসেন ফয়সালের ছবির নিচে মিনহাজ আহমেদ জাবেদের নাম ছাপা হয়েছে এবং মিনহাজ আহমেদ জাবেদের ছবির নিচে আক্তার হোসেন ফয়সালের নাম ছাপা হয়েছে। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত।

×