ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

পরিযায়ীদের ভিড়ে  অপরূপ তিস্তা

ইমন মাহমুদ 

প্রকাশিত: ০২:১০, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

পরিযায়ীদের ভিড়ে  অপরূপ তিস্তা

তিস্তা নদীর পানিতে আস্তানা গেড়েছে পরিযায়ীর দল

তিস্তা নদীর পানিতে আস্তানা গেড়েছে পরিযায়ীর দল। চীন, মঙ্গোলিয়া, সাইবেরিয়ার পরিযায়ীদের ভিড়ে অপরূপ হয়ে উঠেছে তিস্তা নদী। তিস্তাপাড়ের মানুষজন বলছেন অতিথি পাখিরা অনেক চালাক, লোক চলাচল বেশি যেখানে তারা সেখানে থাকে না। ওরা সব সময় নির্জন কলাহলমুক্ত এলাকায় উড়ছে খেলছে নামছে। দূর হতে দেখা যায়। এই পাখিদের নিরাপত্তা যেন তারা নিজেরাই সেফ গার্ড।  
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, তিস্তা বিধৌত জনপদ নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রাম। প্রকৃৃতির অপার এই সৌন্দর্যের হাতছানিতে অনেকেই অবলোকন করতে আসেন তিস্তাপাড়। নদীর ধার ধরে এগোতেই চোখে পড়বে আকাশ-জলে এক মোহনীয় মায়াবী দৃশ্য। বাতাসের সঙ্গে সন্ধি করে  নদীতে চলছে পাল তোলা নৌকা। আর নানা রঙের রাজহাঁস প্রজাতির পরিযায়ীর আনাগোনা। 
ঝাড়শিঙ্গেশ্বর, কিছামত ছাতনাই, ফরেস্টেরচর, বাঘেরচর, খোকার চর, ডালিয়ার চর, কিছামত ছাতনাইয়ের চর, বাইশপুকুরের চর, মেখলিগঞ্জের চর, কুচলিবাড়ির চর, ফকরতের চরসহ নদীর নানান স্থানের তিস্তা নদীর অববাহিকায় আস্তানা গেড়েছে পরিযায়ীর দল। 
তিস্তা নদীর টেপাখড়িবাড়ি এলাকার অনার্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার রুমী বলছিলেন, শীতের সময় নদীতে অন্য রকম এক সৌন্দর্য তৈরি হয় পাখিগুলোর উপস্থিতিতে। ‘এত সুন্দর লাগে যে বলে বোঝাতে পারব না। খুব মায়াও লাগে যখন ওরা চলে যায়।’
তিস্তার মাঝি হারুন মিয়া জানালেন প্রতি বছরই কমবেশি পরিযায়ী আসে নভেম্বর থেকে। এ বছরেও তার অন্যথা হয়নি। পাখির পাশাপাশি বেড়েছে মাছের সংখ্যাও। তিস্তায় বৈরালী যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি বড় ধরনের বোয়াল মাঝেও ধরা পড়ছে।
আরেক মাঝি আছির উদ্দিন জানালেন তিস্তা নদী ভারত-বাংলাদেশ ঘিরে। নদীর দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় ভিনদেশী অতিথি পাখিদের  কলতান আমাদের মুগ্ধ করে রাখে। 
স্থানীয় বাসিন্দারা পাখি শিকার বন্ধ করতে জোট বাঁধায় কাজটা সহজ হয়েছে বলে মনে করছেন তিস্তাপাড়ের পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ডিমলা এলাকার জনতা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ খান। তিনি জানান, পরিযায়ীদের ছবি তোলা নিয়ে পাখিরা বিরক্ত হয়। তিনি বলেন, তিস্তার উজানে ভারতের গজলডোবা হতে দো-মহনী মেখলিগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশের জিরো পয়েন্ট নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কালীগঞ্জ পেরিয়ে পরিযায়ীরা বিক্ষিপ্তভাবে এসে জোড়ো হয়েছে। নদীর দুই পারে তিস্তার বহমান মৃদু ¯্রােতে গা-ভাসিয়ে পরিযায়ীরা নিজেদের নিরাপদেই আশ্রয় নিয়েছে। নদীর বাম তীরে বনজঙ্গল কাশবনে রাত কাটাচ্ছে ভিন দেশী এই অতিথিরা। প্রতি বছরই কমবেশি পরিযায়ী আসে। এ বছরেও তার অন্যথা হয়নি। 
এলাকার পাখিপ্রেমি ও পরিবেশবান্ধব সংগঠন সেতু বন্ধনের সভাপতি আলমগীর হোসেন এই বিষয়ে বলেন, ভারতের তিস্তা নদীর ‘গজলডোবা থেকে আমাদের বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদীতে পরিযায়ী পাখিদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা বলতে কিছুই নেই। তিনি জানান, এবারের তিস্তা নদীতে আসা বেশ কিছু হাঁস প্রজাতির ছবি তুলেছি। বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদীর ১১৩ কিলোমিটার জুড়ে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। কারণ তিস্তায় বছরে এ সময় বা অন্য কোনো সময় কি পরিমাণ ‘পরিযায়ীরা আসেন বা থাকেন সেটির হিসাব করা যেতে পারে। এই সমীক্ষা বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে করতে পারেন। আলমগীর আরও জানালেন এবার জলচর যে পাখিরা এসেছে সেগুলো হলো কমন শেলডাক, রুডিশেল ডার্ক, গ্রেট কর্মোরেন্ট, মার্গেঞ্জার, প্যাসিফিক গোল্ডেন প্লোভার, বার হেডেড গুস, বিভিন্ন ধরনের ল্যাপউইং, গ্যাডওয়াল। হাঁস জাতীয় ওই পাখিরা পানিতে থাকে। স্রাইক (কাজল) নামে এক ধরনের পাখি রয়েছে যেগুলো জলজ না হলেও ১০-১২ হাজার মাইল দূরের অন্য মহাদেশ থেকে এসে এখানেই শীতকাল কাটিয়ে যায়। 
আলমগীর জানালেন, পরিযায়ী পাখি এই শব্দ দুটির মধ্যে আছে অনেক কথা। বিজ্ঞানের ভাষায় নির্দিষ্ট প্রজাতির কিছু পাখি প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময় বা ঋতুতে অন্তত দুটো অঞ্চলের মধ্যে আসা-যাওয়াকে পাখি পরিযান বলে। এখান থেকেই পরিযায়ী পাখি। পৃথিবীর প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির পাখির মধ্যে ১৮৫৫ প্রজাতিই (প্রায় ১৯%) পরিযায়ী। এদের মধ্যে আবার রকমফের আছে। দূরত্বের বিচারে পরিযানকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় : স্বল্পদৈর্ঘ্য পরিযান, মধ্যদৈর্ঘ্য পরিযান ও দীর্ঘদৈর্ঘ্য পরিযান। প্রথমোক্ত প্রজাতির পরিযায়ী পাখিগুলো প্রধানত স্থায়ী। তবে খাদ্যাভাব দেখা দিলে এরা তাদের স্বাভাবিক বিচরণ ক্ষেত্রের আশপাশে অন্য অঞ্চলে গমন করে। চাতক, পাপিয়া, খয়েরিডানা পাপিয়া স্বল্প দৈর্ঘ্যর পরিযায়ী পাখি।
দ্বিতীয় প্রজাতির পাখির পরিযান প্রথমোক্ত প্রকারের তুলনায় অনেক দীর্ঘ এবং এরা মাঝে মাঝেই পরিযান ঘটায়। আর তৃতীয় প্রকারের পাখির পরিযান ঘটে বিপুল বিস্তৃত এলাকা জুড়ে। এ ধরনের পাখি সপ্তাহকাল বা সপ্তাহের পর সপ্তাহ পরিযান করে। এ সময় এরা পাড়ি দেয় হাজার হাজার মাইল। নীলশির, লালশির, ক্ষুদে গাংচিল প্রভৃতি দীর্ঘদৈর্ঘ্যরে পরিযায়ী পাখি।
পাখির এই পরিযান এক বিস্ময়কর ব্যাপার। হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এরা সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এক্ষেত্রে পাখিরা উপকূল রেখা, পাহাড় শ্রেণি, চাঁদ-তারা, নদী-সূর্য ইত্যাদির মাধ্যমে পথ খুঁজে নেয়। 
আলমগীর জানালেন পাখি পরিযানের অন্যতম দুটি কারণ হচ্ছে, খাদ্যের সহজলভ্যতা ও বংশবৃদ্ধি। উত্তর গোলার্ধের অধিকাংশ পাখি বসন্তকালে উত্তরে আসে প্রচুর পোকামাকড় আর নতুন জন্ম নেয়া উদ্ভিদ ও উদ্ভিদাংশ খাওয়ার জন্য। এসময় এরা ঘর বাঁধে ও বংশবৃদ্ধি ঘটায়। শীতকালে বরফ জমার কারণে বা অন্য কোনো সময় খাবারের অভাব দেখা দিলে এরা দক্ষিণে রওয়ানা হয়। আবহাওয়াকেও পরিযানের আরেকটি কারণ ধরা হয়। শীতের প্রকোপে অনেক পাখিই পরিযায়ী হয়। বসন্তের সময় মানে মার্চ-এপ্রিলের দিকে শীতপ্রধান অঞ্চলগুলোতে বরফ গলতে শুরু করে। কিছু কিছু গাছপালা জন্মাতে শুরু করে। ঠিক এইরকম সময়ে অতিথি পাখিরা নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফিরে গিয়ে তারা নিজ বাড়িটিই চিনে নেয়। পাখিগুলো এতটা পথ কিভাবে চেনে এমন প্রশ্নেও আলমগীর বলেন, সমুদ্রের নাবিক যেমন ক¤পাস ব্যবহার করে, এই পাখিদের দেহে সে রকম বা তার চেয়েও উন্নত কিছু সৃষ্টিগতভাবেই আছে। এটা এক অদ্ভুত শক্তি। কথা আরও আছে, শুধু এই শক্তি দিয়েই কিন্তু পাখির গন্তব্যে পৌঁছা নিশ্চিত হয় না। নিশ্চিত হয় তখনই, যখন প্রকৃতির সৃষ্টিকর্তা তার পৌঁছার ব্যবস্থা করে দেন।
গবেষকদের মতে, পরিযানে এই পাখিরা নির্ভর করে সূর্য-তারার অবস্থানের উপরও! পরিষ্কার মেঘমুক্ত রাতে যখন আকাশে নক্ষত্র দেখা যায় তখন পাখিরা নির্বিঘেœ পথ চলতে পারে বলে প্রমাণ আছে। কিন্তু মেঘলা আকাশে নক্ষত্র ঢাকা পড়ে গেলে পাখিরা নিচে কোনো নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নিচে যদি নিরাপদ কোনো জায়গা না থাকে যেমন সমুদ্রের ওপর দিয়ে উড়ে চলা পাখিরা এক্ষেত্রে দিকভ্রান্ত হয়। এ সময় এরা পথ ভুলে চলে আসে অনেক দূরের কোনো লাইট হাউসের শক্তিশালী আলোর দিকে। মেঘলা কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে লাইট হাউসের গ্লাসে আঘাত পেয়ে হাজার হাজার পাখি মারা যায়। ছোট ছোট পরিযায়ী পাখির পরিযান নিয়ে চিন্তা করলেও হৃদয় ও চিন্তায় জেগে ওঠে মহান আল্লাহর নিপুণ সৃষ্টি-কুশলতা ও সর্বময় ক্ষমতার উদ্ভাস।
বনবিভাগের সূত্র মতে সারা বাংলাদেশে পাখির কলোনি চিহ্নিত করা হয়েছে ৬৮টি। এর মধ্যে শুধু উত্তরাঞ্চলেই রয়েছে ৫১টি। পাখির প্রতি উত্তরাঞ্চলের মানুষের বিশেষ ভালোবাসা এবং পাখি রক্ষায় সামাজিক সচেতনতার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। নিরাপত্তার কারণেই পরিযায়ী পাখিরা উত্তরাঞ্চলকে বেছে নিয়েছে। ফলে প্রতিবছরই বাড়ছে পাখির সংখ্যা। উত্তরাঞ্চলের ৫১টি পাখি কলোনির মধ্যে গাইবান্ধায় দুটি, বগুড়ায় তিনটি, রাজশাহীতে ১১টি, দিনাজপুরে একটি, সিরাজগঞ্জে একটি, নওগাঁয় ১৩টি, পঞ্চগড়ে দুটি, নাটোরে চারটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি, পাবনায় তিনটি, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি, জয়পুরহাটে সাতটি, রংপুরে একটি, নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জে একটি ও চিলাহাটিতে একটি। এ ছাড়াও উত্তরের কিছু স্বেচ্ছাব্রতী মানুষ তাদের ঝোপঝাড়, গাছপালা ছেড়ে দিয়েছেন পাখির জন্য। নীলফামারীর সৈয়দপুর, রংপুরের তারাগঞ্জ ও দিনাজপুরের খানসামায়  সেতুবন্ধননামে একটি সংগঠন নিঃস্বার্থভাবে পাখি রক্ষায় কাজ করছে। অনেক মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কেউ যেন পাখি শিকার না করেন, বাচ্চা ধরে না নেন, এসব দেখভাল করছেন। এ কারণেই দেশের অন্য সব এলাকার তুলনায় উত্তরে পাখির সংখ্যা বাড়ছে। সেতুবন্ধনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, পাখিদের আবাস গড়ে তুলতে গাছে গাছে মাটির পাতিল বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শিকারীদের হাত থেকে পাখি রক্ষায় মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এদিকে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা বাজার সংলগ্ন বিশাল বটগাছে কলোনি বানিয়ে বসবাস করছে হাজারো শামুকখোল পাখি। সেখানেই বাচ্চা দেয় তারা। এলাকাবাসী সকলে মিলে শামুকখোল পাখিদের সুরক্ষায় রেখেছে। পাখিরাও স্বজন ভেবে নেমে আসছে নিচে এবং স্বাধীন চেতনায় ঘুরে বেড়াচ্ছে চারদিক। নীলফামারীর নীলসাগরে এই পরিযায়ীদের দিনভর জলকেলি, উড়ে বেড়ানো ও খুঁনসুটি দেখতে আপনারাও আসতে আসতে পারেন। দুচোখ আত্মতৃপ্তিতে ফিরতে পারবেন নিজবাড়িতে। 
পরিযায়ী পাখি বিশেষজ্ঞ সারোয়ার আলম দীপু বলছেন রাশিয়া ও সাইবেরিয়া থেকে এসব পাখি আসে বলে যে তথ্য প্রচলিত আছে সেটি ঠিক নয়। বরং পাখিগুলোর মূলত আসে উত্তর মঙ্গোলিয়া, তিব্বতের একটি অংশ, চীনের কিছু অঞ্চল, রাশিয়া ও সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল থেকে। অর্থাৎ উত্তর মেরু, ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু এলাকা ও হিমালয় পর্বতমালার আশপাশের এলাকা থেকেই পাখিগুলো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে আসে। যেখানে তুলনামূলক কম ঠা-া পড়ে ও খাবার পাওয়া যায়। আবার মার্চের শেষ দিকে যখন এ অঞ্চলে গরম পড়তে শুরু করে ও শীতপ্রধান এলাকায় বরফ গলা শুরু হয় তখন আবার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পাখিগুলো নিজ এলাকায় ফেরত চলে যায়। তবে পাখি শুধু এ অঞ্চলেই আসে তা নয় বরং নানা পরিস্থিতিতে পাখি বিশ্বের নানা অঞ্চলে পরিভ্রমণ করে যা মূলত তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রামেরই অংশ।
সূত্র মতে বাংলাদেশে ১৯৯৪ সালে অতিথি পাখি এসেছিল ৮ লাখের বেশি। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা নেমে এসেছে দুই লাখের নিচে। অর্থাৎ গত ২০ বছরে প্রায় ছয় লাখ পাখি আসা কমে গেছে। তবে এখন এ সংখ্যা সাড়ে তিন লাখের মতো।
কেন এসব পাখি বাংলাদেশে আসে এ প্রসঙ্গে সারোয়ার আলম দীপু জানান, মূলত বাংলাদেশে শীতের সময়ে নদী ও  জলাশয়গুলোতে পানি কমে যায় এবং সে সময়কার কচিপাতা, শামুক, ঝিনুকসহ কিছু উপাদান এসব পাখির প্রিয় খাবার। সে কারণে ওই সময়ে বাংলাদেশের জলাশয়গুলো হয়ে ওঠে তাদের খাবারের উপযোগী স্থান। ‘পাখিগুলো যেখান থেকে আসে সেখানে শীতে বরফে সব ঢেকে যাবে এবং খাদ্য সংকট তৈরি হবে। সে কারণেই বেঁচে থাকার একটি উপযোগী এলাকা খুঁজতে খুঁজতেই কিছু পাখি এ অঞ্চলে আসে। মার্চের শেষে তারা আবার ফিরে যাবে।’ কত জাতের পাখি আসে বাংলাদেশে এ ব্যাপারে সারোয়ার আলম বলছেন বাংলাদেশে আসে সাধারণত হাঁস আর সৈকত প্রজাতির পাখি। একটি জরিপকে উদ্ধৃত করে তিনি জানিয়েছেন যে হাঁস প্রজাতির প্রায় তিন লাখের মতো আর সৈকত প্রজাতির ৫০ হাজার থেকে এক লাখ পাখি এক মৌসুমে বাংলাদেশে আসে।
সারোয়ার আলম দীপু বলেছেন যে, গবেষণায় দেখা গেছে ১০/১১ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েও পাখি আসে বাংলাদেশে। 

×