
বন্দরের মদনপুর-জয়দেবপুর ঢাকা বাইপাস সড়ক
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকার মদনপুর-জয়দেবপুর সড়কের (ঢাকা বাইপাস, এশিয়ান হাইওয়ে) বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বন্দরের মদনপুর থেকে সোনারগাঁয়ের নয়াপুর এলাকা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গর্ত ও খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে এ সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। খানাখন্দগুলো রাতের বেলা মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় সময় এ সকল স্থানে ছোট ছোট যানবাহন খানাখন্দে পড়ে যাচ্ছে। এতে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। খানাখন্দের কারণে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। জরুরি ভিত্তিতে এ সড়কের গর্ত ও খানাখন্দগুলো মেরামত করার জোর দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। গত শনিবার দুপুরে মদনপুর এলাকায় সরেজমিন গিয়ে খানাখন্দের কারণে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। খানাখন্দের কারণে এ সড়কে প্রায়ই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়েকর নারায়ণগঞ্জের মদনপুর চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়েছে মদনপুর-জয়দেবপুর সড়ক (ঢাকা বাইপাস, এশিয়ান হাইওয়ে)। এ মহাসড়ক দিয়েই চট্টগ্রাম থেকে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গিয়ে উঠছে। এছাড়াও এ মহাসড়কটি দিয়ে গাজীপুরের জয়দেবপুর হয়ে বিভিন্ন জেলায় যানবাহন যাতায়াত করছে। এদিকে মদনপুর চৌরাস্তা থেকে সিএনজি, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, অটো ও যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। ইদানীং এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত আর খানাখন্দে ভরে গেছে। বিশেষ করে বন্দরের মনদপুর চৌরাস্তা থেকে সোনারগাঁয়ে নয়াপুর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ৫-৬ মাস ধরে অংখ্য গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ মেরামত করছে না।
মদনপুরের নাজিমউদ্দিন কলেজ এলাকার দোকানি আজগর হোসেন বলেন, গত ৬ মাস ধরে এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে ইট সুরকি বের হয়ে এসেছে। এ গর্তগুলো রাতের বেলা মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ গর্ত ও খানাখন্দগুলো মেরামত না করায় প্রায়ই ছোট ছোট যানবাহনগুলো উল্টে যাচ্ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি একটি তুলাভর্তি মিনি ট্রাক গর্তে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এভাবেই অটো, ব্যাটারিচালিত রিক্সা ও সিএনজিসহ যানবাহন গর্তে উল্টে যাচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ খানাখন্দগুলো মেরামত করছে না।
এ সড়কের ব্যাটারিচালিত রিক্সার চালক শামসুদ্দিন বলেন, খান্দাখন্দের কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় খানাখন্দগুলো বিপজ্জনক অবস্থায় থাকছে। জরুরিভিত্তিতে এ সড়কের খানাখন্দ ও গর্তগুলো মেরামত করার দাবি জানাচ্ছি। মদনপুর এলাকার বাসিন্দা আবু হানিফ বলেন, এ সড়কের আশপাশে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। খান্দাখন্দের কারণে এ সড়কে প্রায় সময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যাত্রীরা নানা দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নারায়ণগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস এ সড়কের খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঢাকা বাইপাস সড়কটি এখন প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমাদের করণীয় কিছুই নেই। প্রকল্পের যারা আছেন তারাই এ সড়কের কাজগুলো করবেন। প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে বার বার রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করার জন্য বলা হয়েছে।