ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গলাচিপার বনাঞ্চলে অবাধ লুটপাট ও উজাড়

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা, পটুয়াখালী 

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

গলাচিপার বনাঞ্চলে অবাধ লুটপাট ও উজাড়

ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল উজাড় করা হচ্ছে।

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কয়েকটি চর ও দ্বীপে একদিকে নতুন বনায়নের নামে চলছে লুটপাট। আরেকদিকে পুরোনো ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল উজাড় করা হচ্ছে। চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চর আগস্তির মাঝের চরে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির ছৈলা ও কেওড়া গাছের বাগান রক্ষায় বাঁশের বেড়া দেয়ার নামেও অবাধ দুর্নীতি ও লুটপাটের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। 

বেড়িবাঁধের বাগান রক্ষায় প্রহরী নিয়োগেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। অভিযোগ উঠেছে, এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট চলছে উপজেলা রেঞ্জ অফিসারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে। আরো অভিযোগ উঠেছে, এলাকার বনায়নের স্বার্থে রেঞ্জ অফিসারের এসব দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় কাউকে কাউকে গাছকাটা ও চুরির মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। যদিও রেঞ্জ অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চর আগস্তির মাঝের চরে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির নতুন বনায়নের লক্ষ্যে যে পরিমাণ ছৈলা ও কেওড়া গাছের বীজ লাগানোর কথা। বাস্তবে তার চেয়ে অনেক কম বীজ রোপণ করা হয়েছে। তারপরেও নতুন বনায়নের গাছের চারা রক্ষায় চারপাশে বাঁশের বেড়া দেয়ার নির্দেশনা এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও তা করা হয়নি। বাগানের ভিতর থেকে বড় গাছের ডাল বা চারা কেটে প্রতিরক্ষা বেড়ার নামে দায়সারা কাজ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বরাদ্দ অর্থের প্রায় পুরোটাই লোপাট করা হয়েছে। 

দক্ষিণ চরবিশ্বাস গ্রামের হারুন মিয়া জানান, চর আগস্তি ও দক্ষিণ চর বিশ্বাস দুটি মৌজায় এক সময় প্রাকৃতিক বন গাছে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রেঞ্জার মনিরুল ইসলামের সহায়তায় বহিরাগত কাঠ চোরাকারবারীরা অব্যাহতভাবে গাছ কেটে নিয়ে প্রায় উজার করে দিয়েছে।  

 এ ব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকার থেকে আমাকে বনে গাছ লাগানোর যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সে মোতাবেক আমি কাজ করেছি। কোন অনিয়ম করা হয়নি। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

 

এমএস

×