ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে সাজ সাজ রব

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ১ ডিসেম্বর ২০২২

চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে সাজ সাজ রব

পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার আর মাত্র একদিন বাকি। ৪ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক এ মাঠে ভাষণ দেবেন তিনি। জনসভাকে সামনে রেখে এখন একেবারে শেষ সময়ের প্রচার ও প্রস্তুতি চলছে। তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। নেত্রীকে বরণ করে নিতে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনগুলোর ব্যাপক তোড়জোড়। সাজ সাজ রব পড়েছে জেলাজুড়ে। এ জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দিক নির্দেশনাপূর্ণ বক্তব্য দেবেন, এমনই আভাস দিচ্ছেন নেতারা।
 শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে বন্দরনগর এবং দুই সাংগঠনিক জেলায় প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষ করে লোকসমাগম ঘটাবার প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন নেতারা। আগামী বছরই নির্বাচনের বছর। ফলে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজেদের প্রতি জনসমর্থনের জানান দিতে চাইবেন। ফলে তাদের মধ্যে শোডাউনের এক ধরনের মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে চারটি আসন।

জেলায় মোট আসন ১৬টি। প্রতি নির্বাচনী এলাকা থেকে নেতাদের নেতৃত্বে যোগদান করবেন সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা। আওয়ামী লীগ নেতারা বারবারই বলছেন, সম্প্রতি একই মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া বিএনপির জনসভার সঙ্গে প্রতিযোগিতা কিংবা টক্কর দেওয়া তাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু তার পরও এ জনসভায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে লোকসমাগম বেশি ঘটবে বলে তাদের আশা।
৪ ডিসেম্বরের জনসভাকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের ১০ বছর পর পলোগ্রাউন্ড ময়দানে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও স্থানীয় ইস্যু সম্পর্কে মুক্তকণ্ঠে কথা বলবেন।

তাই এই জনসভাকে সফল করে তোলার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত বিভাগীয় সমাবেশের মাধ্যমে সারাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির যে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের মাঠে থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার দুর্জয় ঘাঁটি। ব্যক্তির নামে স্লোগান নয়, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যাতে কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। দলের সকল ক্রান্তিকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে ছিল।

আবারও প্রমাণ করার সময় এসেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত। ৪ ডিসেম্বর উৎসব মুখর পরিবেশে শুধু পলোগ্রাউন্ড ময়দান নয়, সারা চট্টগ্রাম নগরীকে জনসমুদ্রের জনতরঙ্গে উদ্বেলিত করে তুলতে হবে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদেরকে প্রমাণ করতে হবে, বৃহত্তর স্বার্থে আমরা ক্ষুদ্র স্বার্থকে পরিহার করতে জানি। শেখ হাসিনার জনসভার মাধ্যমে দেশবাসীকে জানান দিতে হবে, আওয়ামী লীগ অবিনশ্বর এবং অপরাজেয় শক্তি। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ৪ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার জনসভা আমাদের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ।

আমরা প্রমাণ করব, ওইদিন চট্টগ্রামে জনতার ঢল মহাপ্লাবনের মত জেগে উঠবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম। সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ এবং ১৫ থানা ও  ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের নেতারা।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় পথসভা ও ট্রাক শোভাযাত্রা। জেলা পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে থেকে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে।

×