ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক

মন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতে নড়েচড়ে বসেছে সড়ক বিভাগ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস

প্রকাশিত: ২১:৪২, ২৮ নভেম্বর ২০২২

মন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতে নড়েচড়ে বসেছে সড়ক বিভাগ

যশোর-খুলনা মহাসড়কের অধিকাংশ জায়গা এভাবেই ফুলে উঠেছে

যশোর-খুলনা মহাসড়ক যেন একটি দুর্ভোগের নাম। নির্মাণকাজ শেষ না হতেই একবার ফুলে-ফেঁপে ওঠে। আবার সেই স্থান মেরামত শেষ না হতেই খানা-খন্দে পরিণত হয়। বারবার খবরের শিরোনাম হওয়া গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি নিয়ে তাই বিভিন্ন সময় কথা বলেছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। সর্বশেষ ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তিনি ইঞ্জিনিয়ারদের এক মাসের সময় দিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, এক মাসের মধ্যে সমাধান না হলে খবর আছে। এর পরই নড়েচড়ে বসেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কর্মকর্তারা। গত রবিবার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে চিঠি দিয়েছেন তারা।

সেখানে বলা হয়েছে, এক মাসের মধ্যে যশোর-খুলনা সড়কটি সম্পূর্ণ চলাচল উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে জামানত বাজেয়াপ্তসহ লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। সূত্রমতে, যশোর-খুলনা মহাসড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসে। ২০২০ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। সময় বাড়ানো হয় আগামী বছরের জুন পর্যন্ত। একই সঙ্গে সরকারের ব্যয় বাড়ে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি সওজ প্রকৌশলীদের এক মাসের সময় বেঁধে দিয়ে সড়কটি যথাযথ মানে উন্নীত করার নির্দেশ দেন। সওজ সূত্রে জানা গেছে, যশোর-খুলনা মহাসড়কটি নির্মাণকাজ চলমান থাকাবস্থায় ৮ কিলোমিটার সড়ক ফুলে-ফেঁপে ওঠে। বিষয়টি সংবাদপত্রে প্রকাশ হলে সরকার বুয়েটের এক শিক্ষককে পরামর্শক নিয়োগ করেন। তিনি সরেজমিন ঘুরে সড়কের দু’পাশে ওয়্যারিং করার সুপারিশ করেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ মাহমুদ জানান, সড়কের যে স্থানগুলো আঁকা-বাঁকা হয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল, সেগুলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিক করে দিয়েছে। আমাদের পরামর্শকের সুপারিশ অনুযায়ী সড়কের দু’পাশে হার্ডসোল্ডার ওয়্যারিং করা হয়েছে। যশোর বাস মালিক সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান বাবলু জানান, নির্মিত সড়ক এমন ফুলে-ফেঁপে ওঠা কখনো দেখিনি। সেটি কোনো রকম ঠিক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়কটির কাজ চলমান থাকাবস্থায় কিছু জায়গায় সমস্যা হয়েছিল। সেগুলো ঠিক করা হয়েছে। সড়কের কাজও শেষ পর্যায়ে।
সড়ক ও সেতুমন্ত্রী আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সে অনুযায়ী ঠিকাদারকে রবিবার চিঠি দিয়েছি। আশা করছি, তারা ওই সময়ের মধ্যে সড়কটি ঠিক করে আমাদের বুঝিয়ে দেবেন।

×