ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

লালমোহনের সুপারির কদর বিদেশেও 

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমোহন 

প্রকাশিত: ১৫:৪৫, ১৫ নভেম্বর ২০২২

লালমোহনের সুপারির কদর বিদেশেও 

লালমোহনের আড়তে সুপারি গুনছেন শ্রমিকরা

কেবল দেশেই নয়, ভোলার লালমোহনের সুপারির কদর রয়েছে বিদেশেও। স্বাদ ও মানের দিক থেকে দ্বীপ জেলা ভোলা তথা লালমোহন উপজেলার সুপারির বেশ সুনাম রয়েছে। 

বর্তমানে উপজেলার বাজারগুলোতে শুকনো সুপারি আড়াই শত থেকে সাড়ে তিনশত টাকা কেজি এবং পাকা সুপারি স্থানীয় ভাষায় এক বি (৩২০ পিস) পাঁচশত থেকে ছয়শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বছরের এই সময়ে সুপারি দিয়ে বাড়তি আয় করছেন বাগান মালিকরা।

লালমোহনের রমাগঞ্জ ইউনিয়নের সুপারি ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ ও নূরে আলম বলেন, এ বছর গাছে সুপারি কম ধরেছে। বাজারে সুপারি কম হওয়ায় দাম আর চাহিদা অনেকটা বেশি। প্রতি বছরের এই সময়ে গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজার থেকে সুপারি কিনে উপজেলা সদরের আড়তদারদের কাছে বিক্রি করি।

লালমোহন পৌরশহরের আড়তদার হাজী মো. মনির মিঝি বলেন, লালমোহন থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোবাইলের মাধ্যমে বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে সুপারি বিক্রি করছি। তারা আবার এসব সুপারি প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশেও রপ্তানি করছেন। 

উপজেলার রমাগঞ্জ, ধলিগৌরনগর ও চরভূতা ইউনিয়নের সুপারি বাগানের মালিক মো. বাবুল মিয়া, মো. বশির উল্যাহ, মো. শামীম পাটওয়ারী ও আব্দুল বারেক জানান, এ অঞ্চলের অধিকাংশ বাড়িতে সুপারির বাগান রয়েছে। কোনো পরিশ্রম ছাড়াই গাছে সুপারি হয়। প্রতি বছর এ সুপারি বিক্রির মাধ্যমে গড়ে পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়তি আয় করা সম্ভব হচ্ছে।

লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রব মোল্লা বলেন, উপজেলায় এক হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে সুপারির বাগান রয়েছে। সুপারি চাষে তেমন পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। একবার ভালো করে চারা লাগালে কয়েক বছর পর থেকে নিজ থেকেই গাছে সুপারি ধরতে থাকে। এতে করে প্রতিবছর সুপারির একেকজন মালিক তাদের বাগান থেকে বাড়তি আয়ের সুযোগ পান। বর্তমানে দিন দিন সুপারির চাহিদাও বাড়ছে। নতুন করে কেউ সুপারি চাষে আগ্রহী হলে তাদেরকে কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হবে।

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়: