ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অপহৃত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করলেন রহিমা বেগম

প্রকাশিত: ১৬:২২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২; আপডেট: ১৬:২৪, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

অপহৃত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করলেন রহিমা বেগম

উদ্ধার হওয়া রহিমা বেগম

নিখোঁজের ২৮ দিন পর ফরিদপুর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে খুলনার রহিমা বেগমকে। তাকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে দাবি করেন রহিমা বেগম।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ২৭ আগস্ট রাতে পানি নিতে গেলে চারজন তাকে জাপটে ধরে  নাকে রুমাল ধরে। এসময় তিনি অচেতন হয়ে পড়লে আর কিছু জানেন না। অপহৃত হওয়ার কিছু দিন পর তাকে এক হাজার টাকা দিয়ে মুকসুদপুরের বাসে তুলে দেওয়া হয়। পরে তিনি মুকসুদপুর গিয়ে পরিচিতদের কাছে কয়েকদিন কাটান। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার সৈয়দপুরে কুদ্দুসের বাড়ি ওঠেন। যখন যেখানে ছিলেন তখন সেখান থেকে পরিধেয় কাপড় পেয়েছেন।

খুলনা পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকের রহমান বলেন, সৈয়দপুরের ওই এলাকার একটি ছেলে বিষয়টি স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নজরে আনেন। পরে ঘটনাটি দৌলতপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এর আগে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ২টার দিকে তাকে খুলনার দৌলতপুর থানায় আনা হয়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপির) উপ-কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ২৭ আগস্ট রহিমা বেগম নিখোঁজ হন। পরে দৌলতপুর থানায় মামলা হয়। আমরা তার সন্ধানে কাজ করি। কিন্তু তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন না, যে কারণে সন্ধান পাচ্ছিলাম না। এক পর্যায়ে আমরা গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখি। শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। আমাদের টিম যখন ওই বাড়িতে যায়, তখন দেখতে পায় রহিমা দুই নারীর সঙ্গে কথা বলছেন। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি কথা বলা বন্ধ করে দেন।

গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে নিচে নামেন রাহিমা বেগম (৫২)। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। খোঁজ নিতে গিয়ে সন্তানরা মায়ের ব্যবহৃত জুতা, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান মেলেনি। এরপর সাধারণ ডায়েরি ও পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন তার সন্তানরা। এ মামলা তদন্তকালে পুলিশ ও র‌্যাব ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করে।

এমএইচ

×