
রাজবাড়ীতে ভ্রাম্যমাণ রেলওয়ে জাদুঘরে দর্শনার্থী
জাদুঘর দেখতে পছন্দ করেন সব শ্রেণী পেশার মানুষ। পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে যায় ঢাকায়। সময় ও অর্থব্যয় করে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে বেড়ায়। সেই জাদুঘর যদি ছুটে আসে দর্শনাথীর পাশে। তাহলে কথাই নেই। বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষের দুয়ারে জাদুঘর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ভ্রাম্যমাণ রেলওয়ে জাদুঘর এখন রাজবাড়ীতে।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ভ্রাম্যমাণ এই জাদুঘর সকল প্রকার দশনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। ১৫ আগস্ট থেকে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের উত্তর পাশে লাইনের ওপর রাখা হয়েছে এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর। এই জাদুঘর দেখতে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন শিশু-কিশোর, ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন বযসী নারী-পুরুষ। ভ্রাম্যমাণ এই জাদুঘরের মধ্যে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা স্মৃতি।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত গোপালগঞ্জ মিশনারী হাই স্কুল, ১৯৫৬ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল ছবি, ১৯৬৪ সালে মওলানা ভাসানীর সঙ্গে প্রভাত ফেরিতে যাওয়ার ছবি, ’৬৬ সালের ছয়দফা ঘোষণা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের নামের তালিকা, ’৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ, স্বাধীনতা যুদ্ধ, পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ, ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়ির রক্তাক্ত সিঁড়ি, তার ব্যবহৃত চশমা, মুজিব কোর্ট, ৮টি ভিডিও চিত্রে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর বর্ণনা করা হয়েছে। ভিডিও ও অডিও ভাষণ শোনার জন্য জাদুঘরে রয়েছে হেডফোন। জাদুঘরে আসা দর্শনার্থীরা যেটি কানে দিয়ে যে কেউ অডিও বার্তা শুনতে পারছে। এছাড়াও রয়েছে মন্তব্য লেখার খাতা।
শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষেরা জাদুঘরে রাখায় খাতায় মন্তব্য লিখে রাখছে। রাজবাড়ী জেলার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষক সাংবাদিক বাবু মল্লিক জানান, নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার জন্য রেলওয়ে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। রাজবাড়ী রেলওয়ের উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী (লোকো এ্যান্ড ক্যারেজ) হুমায়ুন কবীর জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের উদ্যোগে বিশেষভাবে তৈরি একটি ট্রেনের কোচের ভেতর ইন্টেরিয়র ডিজাইন সংবলিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের কার্যক্রম ১ আগস্ট থেকে গোপালগঞ্জ রেল স্টেশনে শুরু হয়। এরপর ভাটিয়াপাড়া, মধুখালী হয়ে রাজবাড়ী আসে। এখান থেকে যাবে ফরিদপুর। এরপর বিভিন্ন জেলায় যাবে রেলওয়ে জাদুঘর। আগামী ৩০ আগস্ট শেষ হবে।