ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মারধরের পর কিশোরীকে বিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য, থানায় মামলা

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ১৫ আগস্ট ২০২২

মারধরের পর কিশোরীকে বিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য, থানায় মামলা

মেয়েটির চুল ধরে টানছেন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় এক কিশোরীকে মারধরের পর জোর করে বিয়ে দেওয়ার পর পলাতক রয়েছেন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি মো. আকবর জানান, রবিবার বিকালে মেয়েটির মা বাদী হয়ে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মারধরের মামলা করেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গত ২৬ মে বিকালে খারাপ কাজের অপবাদ দিয়ে মারধরের পর ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে এক তরুণের (২০) সঙ্গে বিয়ে দেন জাহাঙ্গীর আলম। সম্প্রতি মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ভাইরাল হয়। পরে ঘটনাটি জানাজানি হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন ওই ইউপি সদস্য।

ভিডিওতে দেখা গেছে,  ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মেয়েটির চুল ধরে লাঠি দিয়ে একের পর আঘাত করছে। এ সময় শিশুটি খাট থেকে পড়ে গেলে চুল ধরে টেনে তুলে আবার পেটান তিনি।

স্থানীয় এক স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীমেয়েটি। তার বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলায়। ছেলেটির বাড়িও একই এলাকায়। পরে ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটিকে জোরপূর্বক বিয়েতে বাধ্য করে সে। এ ঘটনায় সামাজিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে গভীর দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছে হিন্দু পরিবার দুটি।

সম্পর্কিত বিষয়:

×