দক্ষিণ বাকখাইন এলাকায় নৌকা ছাড়া কোন বিকল্প নেই
বিচ্ছিন্ন আরেকটি দ্বীপ পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ বাকখাইন। এখানে মানুষের চলাচলের একমাত্র বাহন নৌকা। এ দ্বীপের অসহায় মানুষগুলো ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন খাল পারাপার করে থাকেন। একটি সেতু ও সøুইস গেটের অভাবে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডটি যেন দ্বীপে পরিণত হয়েছে। ওই ওয়ার্ডটি পটিয়া ও পাশর্^বর্তী আনোয়ারা সীমান্তে হওয়ার কারণে নানাভাবে অবহেলিত।
বর্তমানে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় দুইশ পরিবারের ঘনবসতি। ওই এলাকায় নেই কোন চিকিৎসালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এমনকি নিত্যদিনের বাজার ব্যবস্থা। যার কারণে এলাকার মানুষগুলো বিভিন্নভাবে ভোগান্তির শিকার। খালের উত্তর পাড়ে সরকারী অর্থে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলেও দক্ষিণ পাড়ের বাকখাইন এলাকায় নেই কোন বেড়িবাঁধ। তবুও থেমে নেই এ দ্বীপের অসহায় মানুষের জীবনযুদ্ধ। নিজেদের অর্থে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছে বেড়িবাঁধ। পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপ এলাকাটি গত রবিবার পরিদর্শন করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তবে দক্ষিণ বাকখাইন এলাকায় সেতু নির্মাণ করতে হলে আনোয়ারা আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং পটিয়ার সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর সমন্বয় দরকার।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কাশিয়াইশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুকুমার মল্লিক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, দক্ষিণ বাকখাইন পটিয়া উপজেলায়। অথচ স্বাধীনতার দীর্ঘদিন পরও কোন উন্নয়ন হয়নি। তবে নিজ অর্থে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, দক্ষিণ বাকখাইন এলাকাটি খুবই অবহেলিত। কি কারণে উন্নয়ন হয়নি তা আমি জানি না। সুইস গেট ভাঙ্গা ও সেতুর সঙ্গে রাস্তার সংযোগ না থাকায় লোকজন দ্বীপের মধ্যে বসবাস করছে।