ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া এলাকায় যানজট
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-বাইপাস (এশিয়ান হাইওয়ে) সড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখী যাত্রী ও চালকরা। তবে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। বুধবার সকাল থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কঁাঁচপুর থেকে মোগরাপাড়া ও ঢাকা-বাইপাস (এশিয়ান হাইওয়ে) সড়কের মদনপুর থেকে গাউছিয়া পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া মোগরাপাড়া থেকে মেঘনাঘাট পর্যন্ত গাড়িগুলো ধীরগতিতে চলতে দেখা গেছে। জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগ এড়াতে মানুষ গ্রামের দিকে ছুটছেন। এ জন্য সড়কে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকায় ঘরমুখী যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ যানজটে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের অনেক সময় বেশি লাগছে।
এদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে পরিবহন মালিক ও চালকদের বিরুদ্ধে। মাসুম নামে এ যাত্রী জানান, জরুরী কাজে নয়াপুর থেকে কাঁচপুর যাব। সকাল ১১টায় বের হয়েছি ৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে কাঁচপুর যেতে। যানজটের কারণে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এ বিষয়ে বিকেল সাড়ে ৫টায় কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন বলেন, যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
বিচার প্রার্থীর বিয়ের কাবিন সম্পন্ন করলেন বিচারক
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম। পরণতি বিয়ে। কিন্তু সেই বিয়েরও কাবিন নেই। শুধুমাত্র ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে পড়ানো হয়েছে। বিয়ের পর কথা ছিল বরপক্ষ কাবিন করবে। কিন্তু কাবিন না করে নানা ধরনের টালবাহানা শুরু করে বরপক্ষ। পরবর্তীতে আদালতে মামলা হয়। আর বিচারক নিজেই দায়িত্ব নিয়ে খাস কামরায় সরকারী রীতিনীতি অনুযায়ী বিয়ের কাবিননামা সম্পন্ন করেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের ইকবাল মিয়ার কন্যা মোসাম্মৎ সাদিয়া আক্তার (১৮)-এর সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রাসেল মিয়ার (২৪) বিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিয়ের ক’দিন যেতে না যেতেই স্বামী রাসেল মিয়া কাবিন করতে অস্বীকার করে নানা টালবাহানা জুড়ে দেয়। এ ঘটনায় সাদিয়া এ বছরের ৫ এপ্রিল সদর কোর্টে মামলা দায়ের করে।
আসামি হাজির হলে জামিন নামঞ্জুর করে আদালত কারাগারে প্রেরণ করেন। বুধবার ছিল এ মামলার তারিখ। আদালতে আসামি হাজির হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপী নিজ উদ্যোগ নিয়ে কাবিন সম্পাদন করেন।