নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ নদ-নদীর পানি কমায় গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলগুলো থেকে পানি নেমে গেছে। ফলে এসব এলাকার যেসব পরিবার বন্যার কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছিল তাদের অধিকাংশই ইতোমধ্যে ঘরে ফিরে যেতে শুরু করেছে। বন্যায় জেলার ৪টি উপজেলার ৬৫টি চরাঞ্চলের বসতবাড়িগুলো দীর্ঘদিন বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঘরের বেড়া, খুটি, টিনের চাল খুলে পানিতে ভেসে যাচ্ছে। এতে বসতবাড়ি হারিয়ে বিপাক পড়েছে বন্যা কবলিত কর্মহীন পরিবারগুলো। বেসরকারি সংস্থাগুলো এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেনি। এদিকে সরকারি ত্রাণ তৎপরতা নিতান্তই অপ্রতুল। ফলে বন্যা কবলিত পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানির অভাবে পানিবাহিত রোগ, আমাশয়, সর্দি-কাশি, জ্বর, হাপানির প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, এবারের বন্যায় ৩ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ৯৮ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ১২ কোটি ৭২ লাখ টাকার ফসলের ক্ষতির হিসাব তুলে ধরেছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ৬টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নে ২৬৭টি গ্রাম এবারের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে ২ লাখ ৫২ হাজার ৪১০ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৬০০ মে. টন চাল, খয়রাতি সাহায্য হিসেবে ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ৪ লাখ টাকা, গো-খাদ্যের ৯ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। এছাড়া শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৬৫০ প্যাকেট।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: