স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে প্রথম বারের মতো শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় জীবপ্রযুক্তি মেলা-২০১৮। জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা, গবেষণা ও জীবপ্রযুক্তি ভিত্তিক বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির ব্যবস্থাপনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে মেলায় চলছে।
শুক্রবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মেলার উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। মেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় জীবপ্রযুক্তি’। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধীনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো: নজিবুর রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লহ আল মোহসীন চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল হালিম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসিজ্জামান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ প্রমূখ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বর্তমান সরকারের রূপকল্প অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে এদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা, উন্নয়ন এবং জীবপ্রযুক্তির গবেষণা বাড়াতে হবে। কৃষি, চিকিৎসা, শিল্প ক্ষেত্রের উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় জীবপ্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবানের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জীবপ্রযুক্তিবিদদের সক্রিয়া ভূমিকা পালন করতে হবে। নতুন নতুন জীবপ্রযু্ক্তির উদ্ভাবন এবং প্রয়োগের লক্ষ্যে জীবপ্রযুক্তিবিদদের এগিয়ে আসতে হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, জীবপ্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে গবেষণা কাজে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগেই বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ন্যাশনাল জীন ব্যাংক স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশবাসীর মধ্যে জীবপ্রযুক্তির ধারণা প্রসারের পাশাপাশি নবীন শিক্ষার্থী, বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তাগণের জন্য এ মেলা নবদিগন্ত উন্মোচন করবে । মেলায় বাংলাদেশের ২৪ টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীসহ জীবপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান, স্কুল/কলেজ/, শিল্প, ব্যবসা ও সেবা প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং স্ব-শিক্ষিত গবেষকরা ৭০টি স্টলে তাদের কার্যক্রম প্রদর্শন করছেন।
মেলার অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে জীবপ্রযুক্তির জনপ্রিয় বিষয়ে উপস্থাপনা, গোল টেবিল বৈঠক (বাংলাদেশে জীবপ্রযুক্তি গবেষণা: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়, জীবপ্রযুক্তি শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান: সম্ভাবনা ও করণীয়), পোস্টার প্রজেন্টেশন প্রতিযোগিতা (গবেষণা ও জনসচেতনতামূলক), বায়োটেকনোলজি বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতা, গবেষণা থিসিস ৩ মিনিটে উপস্থাপন প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বায়োইনফরমেটিক্স প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
