ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ বিরতির পরও বাংলাদেশ জাতীয় দলে ফেরার দরজা এখনো খোলা রয়েছে সাকিব আল হাসানের জন্য, এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ইফতেখার রহমান।
গত অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টে সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামেন সাকিব। এরপর জাতীয় দলে তাকে আর দেখা যায়নি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এর আগে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তার বোলিং অ্যাকশন বৈধ ঘোষণা করে।
সাকিব আগেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য থাকায় তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজ দেশে শেষ টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। এরপর রাজনৈতিক পরিবর্তনে সরকার পতনের পর তিনি দেশে ফেরেননি এবং বিসিবিও তাকে একাধিক সিরিজে উপেক্ষা করেছে, এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও রাখা হয়নি।
তবে ইফতেখার রহমান জানিয়েছেন, সাকিব এখনো নির্বাচকদের ভাবনায় রয়েছেন। তার ভাষায়, ‘সাকিব সবসময়ই নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় থাকবেন। তিনি বিশ্বমানের খেলোয়াড়, যেকোনো দলের সম্পদ। বোলিং অ্যাকশনে বৈধতা পাওয়ার পর তিনি কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন মাত্র। আরও কিছু ম্যাচ খেললে তার ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে।’
তবে পিএসএলে তিনি উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স করতে পারেননি—দুটি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন এবং মাত্র একটি উইকেট নেন।
বাংলাদেশ দল বর্তমানে খারাপ ফর্মে আছে। সদ্য শেষ হওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে বাংলাদেশ। পাকিস্তান সফরেও চলছে একই হতাশা। দলে এখন নেই অভিজ্ঞরা—তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ অবসর নিয়েছেন, মুশফিকুর রহিম খেলছেন শুধু টেস্ট। সাকিবের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত, কারণ তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ানডে থেকে অবসর নেননি।
ইফতেখার আরও বলেন, ‘সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ—এই চারজন ছাড়া দলটি এখন অনেকটাই নতুন। অভিজ্ঞতার অভাবটা পরিষ্কার। তবে আমাদের তরুণদের মধ্যে প্রতিভা আছে, তারা আরও খেললে ভালো করবে। এখন আমরা যে অবস্থায় আছি, সেখান থেকে উন্নতির দিকেই যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।’
সূত্র: ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
রাকিব
