ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অ্যালার্জি থেকে বাঁচার গোপন অস্ত্র: রোজকার ১০টি খাবার

প্রকাশিত: ০২:৩৮, ২৮ মে ২০২৫

অ্যালার্জি থেকে বাঁচার গোপন অস্ত্র: রোজকার ১০টি খাবার

ছবি: সংগৃহীত

মৌসুম বদলালেই অনেকেই ভোগেন হাঁচি-কাশি, চুলকানি বা ত্বকে লালচে র‍্যাশের মতো অ্যালার্জির সমস্যায়। অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ খান অনেকে, কিন্তু নিয়মিত কিছু খাবার খাওয়ার মাধ্যমেও প্রাকৃতিকভাবে কমানো যেতে পারে অ্যালার্জির প্রকোপ। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু খাবারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহ প্রতিরোধ করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে স্থিতিশীল রাখে। নিচে এমন ১০টি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যা নিয়মিত খেলে অ্যালার্জির সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

১. আদা
আদা অ্যালার্জি প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর একটি মসলা। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে হাইস্টামিন নিঃসরণ কমায় এবং প্রদাহ প্রশমিত করে। সকালে গরম পানিতে এক টুকরো আদা ফেলে খেলে বা চায়ে মিশিয়ে নিলে উপকার পাওয়া যায়।

২. হলুদ
হলুদের প্রধান উপাদান ‘কারকিউমিন’ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট, যা অ্যালার্জিজনিত উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। হলুদ দুধ বা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার করুন।

৩. মাছ (স্যামন, সার্ডিন, ম্যাকেরেল)
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর এই মাছগুলো অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের ইমিউন প্রতিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শ্বাসযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়।

৪. গ্রিন টি
গ্রিন টিতে ‘ক্যাটেচিন’ নামে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা হাইস্টামিনের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে দেয়। দিনে ১–২ কাপ গ্রিন টি পান করলে উপকার মিলতে পারে।

৫. লেবু ও কমলালেবুর মতো সাইট্রাস ফল
এগুলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামিন হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অ্যালার্জির লক্ষণ হালকা করে।

৬. দই
দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং অ্যালার্জির বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে। নিয়মিত টক দই খাওয়া যেতে পারে।

৭. সবুজ শাকসবজি
পালং, ঢেঁড়স, ব্রকোলি প্রভৃতি শাকসবজি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এবং ভিটামিন-ক ও ফাইবারে ভরপুর। এগুলো অ্যালার্জি প্রতিরোধে শরীরকে সাহায্য করে।

৮. অ্যালমন্ড ও আখরোট
এই বাদামজাত খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ও ভিটামিন-ই, যা অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে বাদাম খাওয়া উপকারী।

৯. মধু
বিশেষত স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত কাঁচা মধুতে সামান্য পরিমাণে পরিবেশগত অ্যালারজেন থাকে। নিয়মিত এক চামচ করে খেলে ধীরে ধীরে শরীর ওই অ্যালারজেনের বিরুদ্ধে সহনশীলতা গড়ে তোলে।

১০. পেঁয়াজ ও রসুন
এতে ‘কুয়ারসেটিন’ নামক ফ্ল্যাভনয়েড থাকে, যা হাইস্টামিন নিঃসরণ কমিয়ে অ্যালার্জির লক্ষণ হ্রাস করতে সহায়ক। রান্নায় নিয়মিত ব্যবহার করুন।

ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনলেই অ্যালার্জির ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব। তবে কারও অ্যালার্জি অতিরিক্ত মাত্রায় থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন করা উচিত।

এসএফ

×