
ছবিঃ সংগৃহীত
ইবাদতের মাহাত্ম্য রক্ষায় কোরবানির পশুর সাথে ছবি তোলা ও তা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা শরীয়তসম্মত নয় বলে মত দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ।
কোরবানির সময় মুসলমানদের মাঝে ধর্মীয় অনুভূতি ও উৎসবের আমেজ দেখা যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, অনেকে কোরবানির পশুর সাথে সেলফি তুলে তা ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে মত দিয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ।
তিনি বলেন, “কোরবানির পশুর সাথে সেলফি তোলা এবং তা প্রচার করা ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ী গর্হিত কাজ। এটি একদিকে বিনা প্রয়োজনে ছবি তোলা, অন্যদিকে ইবাদতকে তামাশায় পরিণত করার শামিল।”
কেন গর্হিত বলে বিবেচিত?
-
কোরবানি একটি ইবাদত। এর মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। অথচ সেলফি তোলা এবং তা প্রচারের মাধ্যমে মানুষের বাহবা পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা ইখলাস বা নিষ্ঠার পরিপন্থী।
-
ইবাদতের মাহাত্ম্য ক্ষুন্ন হয়। অনেক সময় রক্তাক্ত পশুর ছবি তুলে সেটি প্রচার করা হয়, যা ইসলামের আদর্শবিরোধী। এতে কোরবানির গম্ভীরতা ও গুরুত্ব হারিয়ে যায়।
-
ইসলামি শরীয়ত অপ্রয়োজনে ছবি তোলাকে নিরুৎসাহিত করে। বিশেষ করে যেখানে উদ্দেশ্য থাকে লোক দেখানো বা আত্মপ্রচারণা, সেটি স্পষ্টভাবে নিন্দনীয়।
শায়খ আহমাদুল্লাহর পরামর্শ
তিনি বলেন, “ইবাদতকে বাহ্যিক প্রদর্শনীর মাধ্যমে সমাজে তুলে ধরার চেষ্টা করলে তা রিয়া বা লোক দেখানোর পর্যায়ে পড়ে যায়। এমন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।”
ইসলামের নির্দেশনা কী বলে?
-
কোরবানির মতো মহান ইবাদতের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্লেষণ জরুরি।
-
ইবাদত শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, অন্য কারো প্রশংসা পাওয়ার জন্য নয়।
-
সেলফি তুলে প্রচার করার প্রবণতা ইবাদতের প্রকৃত সৌন্দর্য নষ্ট করে।
ইমরান