
আজ ২৯ জিলকদ। হতে পারে আজই জিলকদ মাসের শেষ দিন। এই দিনে এমন একটি আমল রয়েছে, যা করলে কোরবানি আদায়ে সামর্থ্য রাখেন না এমন ব্যক্তিরাও পূর্ণ কোরবানির সওয়াব অর্জন করতে পারে। তা হলো, জিলহজের চাঁদ ওঠার আগে আগে নখ, চুল, গোঁফ, নাভির নিচের পশম ইত্যাদি পরিষ্কার করে ফেলা।
জিলহজের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানির আগ পর্যন্ত এগুলো কাটা থেকে বিরত থাকা। এটি একটি মুস্তাহাব আমল।
উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা যদি জিলহজ মাসের চাঁদ দেখতে পাও আর তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছা করে, তাহলে সে যেন স্বীয় চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৫০১৩)
এই বিরতি কত দিন থাকবে এবং এর ফজিলত কী, তা-ও হাদিসে উল্লেখ আছে।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমি কোরবানির দিন সম্পর্কে আদিষ্ট হয়েছি (অর্থাৎ এই দিনে কোরবানি করার আদেশ করা হয়েছে)। আল্লাহ তাআলা তা এই উম্মতের জন্য ঈদ হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। এক ব্যক্তি আরজ করল, হে আল্লাহর রাসুল, যদি আমার কাছে শুধু একটি মানিহা থাকে, অর্থাৎ যা শুধু দুধপানের জন্য দেওয়া হয়েছে? আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, না; বরং সেদিন তুমি তোমার চুল কাটবে, নখ কাটবে, গোঁফ ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করবে। এটিই আল্লাহর কাছে তোমার পূর্ণ কোরবানি বলে গণ্য হবে।
(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৫৭৫)
উক্ত হাদিসে রাসুল (সা.) কোরবানি করতে অসক্ষম ব্যক্তিরাও যেন সচ্ছল মুসলমানদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ও খুশি উদযাপনে অংশীদার হতে পারে, সেই রাস্তা বাতলে দিয়েছেন। তারা এই ছোট্ট আমলটির মাধ্যমেও পরিপূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হতে পারবে। অনুরূপভাবে হাজিদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী হবে। মহান আল্লাহ এতটাই মহান যে তিনি তাঁর কোনো বান্দাকেই নিরাশ করেননি। সব প্রশংসা একমাত্র তাঁরই।
তাই আমাদের উচিত, ফজিলতপূর্ণ এই আমলটি গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করা।
--মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
সাব্বির