
বর্তমানে তরুণ সমাজে মজার ছলে কিংবা দুষ্টুমিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদি) বিয়ে সংক্রান্ত কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ প্রেমিকার সামনে বন্ধুদের সামনে বলে বসে “আমি তোকে বিয়ে করলাম।” আর প্রেমিকাও জবাব দেয় “আমি কবুল বললাম।” এতে কি আসলেই বিয়ে হয়ে যায়?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা ইসলামিক চিন্তাবিদ শায়েখ আহমাদুল্লাহ। সম্প্রতি একটি ইসলামিক মাহফিলে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, “তিনটি বিষয় আছে যেগুলো সিরিয়াসলি বললেও কার্যকর হয়, মজা করেও বললেও একই রায় প্রযোজ্য হয়। এর একটি হলো বিয়ে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক সময় নাটক-সিনেমায়ও দেখা যায়, চরিত্র অনুযায়ী বিয়ে সংক্রান্ত সংলাপ বলা হয়। এমনকি সেখানে অভিভাবকও উপস্থিত থাকেন, দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সাক্ষীও থেকে যান। হানাফি মাজহাবের মতে, এমন পরিস্থিতিতে সত্যিকারের বিয়ের শর্ত পূরণ হয়ে গেলে, সেটিকে প্রকৃত বিয়ে হিসেবে গণ্য করা হবে।”
শায়েখ আহমাদুল্লাহর মতে, “আপনি প্রেমিকার সামনে, দোস্তদের সাক্ষীতে বললেন ‘আমি তোকে বিয়ে করলাম’, আর সে বলল ‘আমি কবুল করলাম’। যদি আপনারা দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক হন এবং দুইজন সাক্ষী উপস্থিত থাকে, তাহলে হানাফি মাজহাব অনুযায়ী বিয়ে বৈধ হয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “অনেকে না জেনে এমন মজার ছলে কাজ করে বসে, অথচ বুঝতে পারেনা তারা আসলে একে অপরের বৈধ স্বামী-স্ত্রী হয়ে গেছে।”
এই বিষয়ে ইসলামিক স্কলারদের মতে, ইসলামে বিয়েকে অত্যন্ত গুরুতর এবং দায়িত্বশীল একটি বন্ধন হিসেবে দেখা হয়। তাই দুষ্টুমি, নাটক কিংবা মজা করেও বিয়ের প্রস্তাব ও কবুল বলায় বিয়ের শর্ত পূরণ হয়ে গেলে, তা আল্লাহর দরবারে বৈধ বিয়ে হিসেবে গণ্য হতে পারে।
তরুণদের উদ্দেশ্যে হুজুর বলেন, “বিয়ের বিষয়টি কখনোই ঠাট্টা বা মজার উপাদান হতে পারে না। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া একটি পবিত্র বন্ধন। সুতরাং সাবধান হোন, দুষ্টুমি করতে গিয়ে বড় গুনাহে জড়িয়ে পড়বেন না।”
মিমিয়া