
কালান্দার্সের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে তিন বাংলাদেশি তারকাÑ রিশাদ হোসেন, সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
এ যেন রোমের রাজা জুলিয়াস সিজার ‘এলাম দেখলাম জয় করলাম’।
ট্রেন্ট ব্রিজের টেস্ট ম্যাচ শেষ করে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে অবিশ্বাস্য এক যাত্রায় পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনাল খেলতে লাহোর পৌঁছাল সিকান্দার রাজা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রাজা যেন দেখালেন তাঁর রাজত্ব। রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৭ বলে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২২ রানের ইনিংস খেলে লাহোর কালান্দার্সকে চ্যাম্পিয়ন করলেন এই রোডেশিয়ান তারকা।
রবিবার পিএসএল খেলতে নটিংহ্যাম থেকে এক বন্ধুর গাড়িতে চড়ে তিনি বার্মিংহামের বিমানবন্দরের পথে ছুটলেন। যা ছিল তার জন্য লাহোরের বিমান ধরার জন্য নিকটতম বিমানবন্দর। সেখানে পৌঁছে বিজনেস ক্লাসের কোনো সিট না থাকায় ইকোনমি ক্লাসেই দুবাইয়ের পথে উড়াল দেন রাজা। সেখানে ছয় ঘণ্টার বিরতি। দুবাইয়ে নেমে গাড়িপথে আবার রওনা হন আবুধাবির উদ্দেশ্যে। লাহোরগামী সবচেয়ে আগের ফ্লাইট ছেড়ে যাবে সেখান থেকেই।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে যখন ফাইনালের টস করতে নামেন দুই দলের অধিনায়ক, তখনও মাঠে এসে পৌঁছাতে পারেননি সিকান্দার রাজা। এজন্য রাজার জায়গায় প্রস্তুত রাখা হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। তবে বিমান ঠিক সময়ে লাহোরে আসায় টসের মিনিট দশেক আগে বিমানবন্দরে নেমে পড়ে মাঠে আসা রাজাই শেষ পর্যন্ত লাহোরের তৃতীয় শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক হয়ে উঠলেন।
নির্ধারিত ২০ ওভার খেলায় কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স ৯ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান সংগ্রহ করে। লক্ষ্য তাড়া করে শাহিন শাহ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন লাহোরের দল মাত্র এক বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে। ফাইনালের শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা ৩১ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও রাজাকেই বলা হচ্ছে ম্যাচ জয়ের মূল নায়ক। ফাইনালে মাত্র রিশাদ হোসেন খেললেও, দলের আরেক দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটার- সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজও শিরোপার অংশীদার হন।