
মুস্তাফিজের চোটে টি২০ তে কপাল খুলেছে খালেদের
শুরুর অপেক্ষায় টাইগারদের বহুল আলোচিত পাকিস্তান সফরে মাঠের দ্বৈরথ। সকল অনিশ্চয়তা, জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, আমিরাতে অপ্রত্যাশিত সিরিজ হারের হতাশা সঙ্গী করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন লাহোরে। শনিবার প্রথম ধাপে চার ক্রিকেটারসহ স্টাফের দশজন, রবিবার অধিনায়ক লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তসহ সর্বোচ্চ দশ ক্রিকেটার সেখানে পা রাখেন। বাকি কয়েকজনের ইতোমধ্যে পৌঁছে যাওয়ার কথা।
শেষ মুহূর্তে বড় অস্বস্তি হয়ে এসেছে তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের ইনজুরি। আইপিএল খেলতে গিয়ে চোটে পড়েছেন কাটার মাস্টার। পরিবর্তে প্রথমবারের মতো টি২০ দলে ডাক পেয়েছেন খালেদ আহমেদ। ডানহাতি এ পেসার এখন লাহোরের পথে রয়েছেন। সোমবার রাতে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের আলোয় অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল। এখানেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজের প্রথম টি২০ বুধবার। পরের দুই ম্যাচ শুক্র ও রবিবার।
আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে বোলিংয়ের সময় কঠিন ফিরতি ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঙুলে চোট পান মুস্তাফিজ। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। পরে মাঠে ফিরে অবশ্য আবার বোলিং করেন। চার ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ২৯ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গত শনিবার আইপিএলে খেলার সময় মুস্তাফিজের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে চিড় দেখা দিয়েছে। এই চোট থেকে সেরে উঠতে তার কিছুদিন বিশ্রাম ও পুনর্বাসন প্রয়োজন। আমাদের এখনকার মূল্যায়ন অনুযায়ী, আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহ তাকে খেলার জন্য বিবেচনা করা যাবে না। সেরে ওঠার অগ্রগতি দেখতে দুই সপ্তাহ পর আমরা ফের তার অবস্থা দেখব।’
মুস্তাফিজের ছিটকে যাওয়া আশীর্বাদ হয়ে এসেছে খালেদের জন্য। ৩২ বছর বয়সী পেসার নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে ও টেস্ট দুই সিরিজেই ভালো করেছেন। সিলেটে ওয়ানডে ম্যাচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এর পর টেস্টে ৭টি, প্রথম ইনিংসে ৬, দ্বিতীয় ইনিংসে ১। ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সংবাদ মাধ্যমে রঙিন পোশাকে ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। সুযোগটা এলো মুস্তাফিজের চোটে।
বাংলাদেশের হয়ে খালেদ এ পর্যন্ত ১৬টি টেস্ট ও দুটি ওয়ানডে খেলেছেন। স্বীকৃত টি২০তে ৭৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৯৪ উইকেট। ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৮.২১ রান। সেরা ৪/১৯। তবে সাম্প্রতিক টি২০তে দারুণ ছন্দে ছিলেন মুস্তাফিজ। আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তার বোলিংয়েই জিতেছিল দল। শারজায় শেষ দুই ম্যাচে তার অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন লিটন দাসরা।