
গর্বের সিরিজ জয়ের ট্রফি নিচ্ছেন আরব আমিরাত অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শারজায় দ্বিতীয় ম্যাচে ঠা-া মাথায় খেলে ২ উইকেটে জয় পায় স্বাগতিকরা। ফলে সিরিজ জয়ের বিশ^াস ছিল আরব আমিরাতের। শেষ ম্যাচে টাইগারদের দেওয়া ১৬৩ রানের লক্ষ্য মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৫ বল আগেই জয়ের উল্লাসে মাতেন তারা। বাংলাদেশের মতো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য সিরিজ জয়ে সেরা ইতিহাস গড়েছে তারা।
২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে একটি টি২০ ম্যাচে হারিয়েছিল আরব আমিরাত। কিন্তু সেবার সিরিজ জিততে পারেনি। সেই অপূর্ণতা এবার তারা ঘুচিয়ে দিল। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে টি২০ সিরিজ জয়ের স্বাদ এবারই পেল আমিরাত। ২০২১ সালে আয়ার?ল্যান্ডকে হারিয়েছিল ২-১ ব্যবধানে।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে ১ বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার এমন লজ্জায় পড়ল বাংলাদেশ। কাকতালীয়ভাবে, ২০২৪ সালের ২১ মে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সিরিজ হেরেছিল টাইগাররা। এক বছর পর, ২০২৫ সালের ঠিক সেই একই দিনে আবারও ২১ মে-তে হারল আরেক সহযোগী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে।
শুরুতে দুই ম্যাচের সিরিজ হওয়ার কথা থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বাড়ানো হয় একটি ম্যাচ। তখন থেকেই সিরিজ জয়ের স্বপ্নের বুনন শুরু স্বাগতিকদের। শেষ ম্যাচে ৬৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলে এই জয়ে ম্যাচসেরা হন আলিশান শারাফু। ম্যাচসেরা হয়ে আলিশান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সবাই খুবই উচ্ছ্বসিত। তৃতীয় ম্যাচটির ঘোষণা যখন দেওয়া হলো, সবাই তখন থেকেই আশাবাদী ছিল। ড্রেসিং রুমে আমরা কথা বলেছি যে, জিততে পারি। একটি করে ম্যাচ ধরে এগোতে চেয়েছি আমরা এবং সবকিছু সেভাবেই হয়েছে।’
আরব আমিরাতের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সাফল্যগুলোর একটি এই সিরিজ জয়। এই অধিনায়ক বলেন, ‘আমি খুবই খুশি এই জয়ে। অভিনন্দন জানাই আমাদের ম্যানেজমেন্ট, আমাদের বোর্ডকে, ধন্যবাদ জানাই কোচিং স্টাফ, প্রধান কোচ, ফিজিও, অ্যানালিস্ট, ট্রেনার, প্রত্যেককে। আমি খুবই খুশি ইতিহাস গড়তে পেরে। এই সিরিজ জয়ের অর্থ আমাদের কাছে বিশাল। ভবিষ্যতে এটা আমাদের সহায়তা করবে। ছেলেরা যেভাবে খেলেছে, আলিশান, আসিফ, রাহুল ব্যাট করেছে যেভাবে, হায়দার যেভাবে বোলিং করেছেন, খুবই খুশি আমি। এমন একটি দিনের প্রতিক্রিয়া প্রকাশের ভাষা নেই আমার।’
এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফিফটি করেন তিনি, দ্বিতীয় ম্যাচে ৪২ বলে ৮২ রান করেন। শেষ ম্যাচে মাত্র ৯ রানে আউট হলেও বিশ্বাস ছিল দল জিততে পারবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমরা আশা হারাইনি। সবাইকে বলছিলাম যে আমরা জিততে পারি। এই কন্ডিশনে আমরা অভ্যস্ত। বিশ্বাসটা ছিল আমাদের। খুবই খুশি আমি।’