ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

চেন্নাইয়ে দুর্দান্ত মুস্তাফিজ বাইরে বেসামাল

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৫১, ২১ এপ্রিল ২০২৪

চেন্নাইয়ে দুর্দান্ত মুস্তাফিজ বাইরে বেসামাল

মুস্তাফিজুর রহমান

সাত ম্যাচে তিন হারের বিপরীতে চার জয় চেন্নাই সুপার কিংসের। পয়েন্ট টেবিলের সেরা তিনে থাকতে ছয় ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের অবদান অনেক। আসরে তৃতীয় আর দলের পক্ষে তিনিই সর্বোচ্চ শিকারি। বল হাতে এখনো পর্যন্ত সব ম্যাচেই উইকেট পেয়েছেন টাইগার বাঁহাতি পেসার। তবে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে তার পথচলাটাকে চাইলে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

এক অংশ চেন্নাইয়ের হোম ভেন্যু চিপকের এম চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে, এখানে তিন ম্যাচ খেলেই পেয়েছেন ৮ উইকেট। বাকি ৩টি বাইরের ভিন্ন তিন মাঠে। মুম্বাইর বিপক্ষে ওয়াংখেড়ে আগের ম্যাচে ১ উইকেট নিয়েছিলেন ৫৫ রান খরচায়। আর সর্বশেষ লক্ষেèৗয়ে স্বাগতিক লক্ষেèৗ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৪৩ রানে শিকার ১ উইকেট। ম্যাচে তার দলও হেরেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
মুস্তাফিজের বোলিং বিশ্লেষণ ৪-০-৪৩-১। কোনো ছক্কা হজম করেননি তবে বাউন্ডারি (চার) দিয়েছেন ৭টি, ওয়াইড ২, ডট ৫। ‘চেন্নাই যখন ব্যাটিং করছিল তখন বল খানিকটা গ্রিপ করছিল। আমার মনে হয়েছিল এমন উইকেটে ফিজ দুর্দান্ত কিছু করবে। মুস্তাফিজ, জাদেজা ও দেশপান্ডে প্রত্যেকে ওভার প্রতি ১০Ñএর বেশি রান দিয়েছে, এটা চেন্নাইয়ের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল।’ ম্যাচ শেষে বলেন হার্শা ভোগলে।

অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট অ্যাডাম গিলক্রিস্ট অবশ্য মুস্তাফিজের পাশেই আছেন, ‘আপনি যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন ফিজ খুব ভালোভাবেই স্লোয়ারের চেষ্টা করেছে। চেন্নাইয়ে আমরা দেখেছি, এগুলোই বেশ কাজে দিয়েছে। কিন্তু এখানে (লক্ষেèৗয়ে) কাজে আসেনি।’ হোম ভেন্যু চিদাম্বরামে ফিজ তিন ম্যাচে রান দিয়েছেন মাত্র ৮১। সেই তিনি বিশাখাপত্তম, ওয়াংখেড়ে এবং লক্ষেèৗয়ে গিয়ে দিয়েছেন ১৪৫ রান।

শুধু রান খরচ নয়, উইকেটের দিক থেকেও চিপকের বাইরে বেশ নিষ্প্রভ বাংলাদেশী তারকা পেসার। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে ১১ উইকেটের ৮টি তিনি পেয়েছেন চিপকে, বাইরে মাত্র ৩টি। চেন্নাইয়ের স্লো উইকেটের বাইরে ফিজের বোলিংয়ে ধার যে অনেক কম, এই পরিসংখ্যানেই সেটি পরিষ্কার। 
লক্ষেèৗয়ের বিপক্ষে কোনো বোলারই অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। একাধারে শাসন করেছেন লোকেশ রাহুল এবং কুইন্টন ডি কক। উইকেট পেয়েছেন কেবল মুস্তাফিজ এবং মাথিশা পাথিরানাই। তবে ফিজ রান খরচ করেছেন সবচেয়ে বেশি। ৪৩ রান দিয়েছেন ১০.৪৩ ইকোনমি রেটে। পুরো দলের মধ্যে বাউন্ডারিতে সবচেয়ে বেশি রানও হজম করেছেন বাংলাদেশের পেসার। ৭ চারে দিয়েছেন ২৮ রান।

মুম্বাইয়ের বিপক্ষে আগের ম্যাচের চিত্রটা আরও শোচনীয়। দলের সবাই যেখানে রান দিয়েছেন ৩০-এর ঘরে, ফিজ খরচ করেছেন ৫৫ রান। সেদিন তার বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বেশ। ওয়াংখেড়ের স্পোর্টিং উইকেটে ভুগেছেন ফিজ। বাউন্ডারিতে দিয়েছিলেন ৪০ রান। এমনকি বিশাখাপত্তমে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচেও দলের হয়ে সবচেয়ে খরুচে (৪৭ রান) বোলার ছিলেন তিনি। এই তিন ম্যাচে ফিজের ইকোনমি ছিল ১০-এর বেশি। আর গড়ে ৪৮.৩৩ রানে উইকেট মাত্র ১টি করে। কিন্তু চিপাকের পিচে ইকোনমি ছিল ৮-এর নিচে।

×