
মিরপুরে অনুশীলনে মুশফিকুর রহিম
আর মাত্র দুটি ম্যাচ, তারপরই বিপিএল টি২০ আসরের লিগ পর্ব শেষ হয়ে যাবে। আজ রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের শেষ দুই ম্যাচ দিয়ে আবার মিরপুরে ফিরছে বিপিএল। তবে শেষ ম্যাচ হলেও এ দুটি ম্যাচেরই গুরুত্ব চলতি আসরের জন্য অনেক। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেলা ২টায় প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশাল এবং সন্ধ্যা ৭টায় দ্বিতীয় ম্যাচে লড়বে খুলনা টাইগার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
বরিশাল জিতলেই নিশ্চিত হবে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ, তবে তারা হারলে এবং খুলনা জিতলেও নেট রানরেটের হিসাব থেকে নিশ্চিত হওয়া যাবে তারা প্লে-অফ খেলতে পারবে কিনা। অপরদিকে কুমিল্লা ভালোভাবে বরিশালকে হারিয়ে দিতে পারলে তারাই শীর্ষস্থান নিয়ে শেষ করবে। এবারই বিপিএলের কোনো আসরে বড় ধরনের কোনো বিতর্ক হয়নি ৪০টি ম্যাচ শেষ হয়ে গেলেও। কোনো ধরনের জরিমানা, শাস্তি, শোকজ নোটিস দেখা যায়নি। বিতর্ক হয়নি ধারাভাষ্য, সম্প্রচার, আম্পায়ারিং নিয়ে। তাই বেশ ভালোভাবেই শেষ হচ্ছে লিগ পর্ব।
আজ ভালোভাবে সর্বশেষ দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলে সার্বিকভাবে সফল, পরিচ্ছন্ন এবং বিতর্কহীন একটি ভালো বিপিএল শেষ করে প্রশংসার দাবিদার হতেই পারে বিসিবি। কুমিল্লা-বরিশালের লড়াই আজ দুপুরে। প্রথম সাক্ষাতে বরিশালকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা। আজ শুধু প্রতিশোধই নয় বরং যে কোনোভাবে জিততে মুখিয়ে আছে বরিশাল।
ন্যূনতম ব্যবধানে জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হবে তাদের। জিততে না পারলেও লড়াই করে খুব কম ব্যবধানে হারলেও ভালো নেট রানরেট থাকায় তাদের সম্ভাবনা অতি উজ্জ্বল প্লে-অফ খেলার। আর কুমিল্লার লক্ষ্য ভালোভাবে জিতে সমান ১৮ পয়েন্ট করে রংপুুরকে নেট রানরেটে পেছনে ফেলা। তাহলে শীর্ষস্থান নিয়েই প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরের মুখোমুখি হতে পারবে তারা।
তবে বরিশাল হারলেই শুধু দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে সুযোগ থাকতে পারে খুলনার। বরিশালের পয়েন্ট ১২, খুলনার ১০। বরিশাল হারলেও খুলনাকে বড় ব্যবধানে জিততে হবে সিলেটের বিপক্ষে। তাহলেই বরিশালের সমান পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারবে। তবে বরিশাল জিতে গেলে খুলনা-সিলেট ম্যাচটি হবে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
তবে এমন নিশ্চিদ্র আয়োজনের পরও বরাবরের মতোই একটি অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পারেনি বিপিএল। সেটি হচ্ছে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরগুলোর মতো উন্নত মান নিশ্চিত করা যায়নি। সেটি শুধু বড় তারকাদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি আরও আকর্ষণীয় কিছু আয়োজন, আকর্ষণীয় মানের প্রাইজমানির মাধ্যমেই সম্ভবপর হতে পারে। তবে বিতর্কহীনভাবে বিপিএল আয়োজন করতে পারলে নিশ্চিতভাবেই পরবর্তী কয়েকটি মৌসুমের মধ্যেই মান উঁচুতে উঠবে বিপিএলের।