নারী ক্রিকেট দলের স্পিন কোচ দিনুকা হেত্তিয়ারাচ্চি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মহিলা উইং চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন পরিবর্তনের কথা। টিম ম্যানেজমেন্টকে ঢেলে সাজিয়ে আধুনিক যুগের সেরা দলগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করেই সাজানো হবে মহিলা ক্রিকেট দলকে। এরই প্রক্রিয়ায় বিতর্কিত টিম ম্যানেজার ও নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুকে সরিয়ে দেওয়াটাও নিশ্চিত হয় এবং জানা যায় মেয়েদের ২ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচক প্যানেলে থাকবেন সাজ্জাদ আহমেদ শিপন ও সজল আহমেদ চৌধুরী। তাদের নির্বাচক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নাদেল জানিয়েছেন, নিগার সুলতানা জ্যোতিদের জন্য নতুন স্পিন বোলিং কোচ নিয়োগের কথা।
শ্রীলঙ্কার সাবেক বাঁহাতি স্পিনার ৪৬ বছর বয়সী দিনুকা হেত্তিয়ারাচ্চিকে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের স্পিন বোলিং কোচ করা হয়েছে। এছাড়া প্রধান কোচ শ্রীলঙ্কার হাসান তিলকারতেœর সহকারী হিসেবে দেশের দুই স্বনামধন্য কোচ ওয়াহিদুল গণি ও দিপু রায় চৌধুরীর নাম আগেই জানা গেছে। তবে তারা মেয়েদের বয়সভিত্তিক দল নিয়েই মূলত কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন নাদেল।
নির্বাচক মঞ্জুকে নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। দুই বছরের বেশি সময় তিনি বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের ম্যানেজার ও নির্বাচক থাকলেও পক্ষপাতদুষ্ট ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বিতর্কিত হন। শেষ পর্যন্ত তাকে সরিয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচক প্যানেল গড়েছে বিসিবির মহিলা উইং। ২০২০ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করা মঞ্জুর জায়গায় এসেছেন শিপন-সজল। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের হয়ে ২ ওয়ানডে খেলেছেন শিপন এবং নব্বই দশকে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন পেসার সজল। পরবর্তীতে নির্বাচক প্যানেলে আরও একজনকে যুক্ত করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নাদেল।
এ বিষয়ে নাদেল বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচক প্যানেলে সাজ্জাদ আহমেদ শিপন ভাইকে এনেছি, সজল আহমেদ চৌধুরীও আছেন। আপাতত এই দুইজন। পরে একজন হয়তো যুক্ত হবেন। কারণ আমাদের টুর্নামেন্টের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এক জায়গায় বসে বা একজনের পক্ষে এতগুলো টুর্নামেন্ট কাভার করা সম্ভব নয়। তাই আমরা এটি বাড়াতে যাচ্ছি। বয়সভিত্তিক, ইমার্জিং দল ও জাতীয় দল- সব খেলায় যেন আমাদের নির্বাচকরা মাঠে থাকতে পারেন, তারা সেটা দেখতে পারেন।’
নতুন নির্বাচকদের সঙ্গে নতুন স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে সাবেক লঙ্কান স্পিনার দিনুকা নিয়োগ পেয়েছেন। ২০০১ সালে কলম্বোয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা একমাত্র টেস্টে তিনি নিয়েছিলেন ২ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার লম্বা না হলেও ২৩৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১ হাজার উইকেট আছে তার। ১৩৬টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আছে ২০৮ উইকেট। ২-৩ দিনের মধ্যেই তিনি বাংলাদেশে আসবেন বলে জানিয়েছেন নাদেল। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় দলে হাসান তিলকারতেœ আছেন, সম্প্রতি আমরা শ্রীলঙ্কা থেকে স্পিন কোচ হিসেবে দিনুকাকে (দিনুকা হেত্তিয়ারাচ্চি) নিচ্ছি। তিনি ২-৪ দিনের মধ্যে যুক্ত হবেন।’
আর মেয়েদের জাতীয় দলের পাইপলাইন মজবুত করে গড়তে দেশের দুই অভিজ্ঞ ও বিখ্যাত কোচ ওয়াহিদুল গণি ও দিপু রায়কে যোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নাদেল বলেছেন, ‘বয়সভিত্তিক দলের জন্য আমরা দীপু রায় চৌধুরী ও ওয়াহিদুল গণিকে নিয়েছি। দীপু রায় আগেও কাজ করেছেন। আরও ৩-৪ জন কোচকে এই প্যানেলে যুক্ত করার পরিকল্পনা আছে। যাতে তারা বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের দলগুলোকে ভবিষ্যতে একটা শক্তিশালী পাইপলাইন হিসেবে তৈরি করে দিতে পারেন।’