ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

ফাইনালে হতাশার হারের পর বললেন রোমার পর্তুগিজ কোচ জোশে মরিনহো

‘রানার্সআপ পদক আমার দরকার নেই’

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৪৭, ২ জুন ২০২৩

‘রানার্সআপ পদক আমার দরকার নেই’

জোশে মরিনহো

কোচিং ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইউরোপের কোনো আসরের ফাইনালে হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন তারকা কোচ জোশে মরিনহো। বুধবার রাতে ইউরোপা লিগের ফাইনালে তার দল এএস রোমা টাইব্রেকারে হেরে গেছে সেভিয়ার কাছে। এই হারের পর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন পর্তুগিজ লৌহমানব। 
এই হার ৬০ বছর বয়সী মরিনহোর জন্য একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। কারণ আগের পাঁচ ইউরোপিয়ান ফাইনালেই তিনি জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। এর মধ্যে গত বছর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য উয়েফা কনফারেন্স লিগের শিরোপাও আছে। এবার শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পর মরিনহো বলেন, প্রতিবার ক্লাবের হয়ে লড়াই করতে করতে কোচ হিসেবে আমি সত্যিই এখন বেশ পরিশ্রান্ত। মরিনহো অবশ্য বলেছেন, এই মুহূর্তে ভবিষ্যতের বিষয়টি ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। 
মৌসুমের শেষে ছুটিতে যেতে চান বলে জানিয়েছেন পর্তুগিজ লৌহমানব। ফাইনালে রেফারির বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তাদের বিরুদ্ধে গেছে যা নিয়ে তিনি দারুণ হতাশ। এ প্রসঙ্গে মরিনহো বলেন, আমাদের থেকে প্রতিভাবান একটি দলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে এমনিতেই সবাই চাপে ছিল। আমরা ম্যাচটি হেরেছি ঠিকই কিন্তু কোন ধরনের প্রতিরোধ গড়তে পারিনি। আমি যেভাবে ঘরে ফিরছি এর আগে কখনই এতটা হতাশ হইনি। পেনাল্টি নিয়ে আমরা যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। কিন্তু তারপরও দুটি মিস করেছি। সেভিয়াকে অভিনন্দন। কিন্তু আমার খেলোয়াড়দেরও অভিনন্দন জানাতে চাই। ছেলেরা শান্তি নিয়েই ঘরে ফিরবে আশা করছি। যা কিছু করার ছিল তারা সেটা করেছে।

হতাশায় ফাইনালে হারের পদকটা মরিনহো ছুড়ে মেরেছেন পুসকাস অ্যারানার গ্যালারিতে এক খুদে রোমা সমর্থকের প্রতি। সেই ছবি নিয়ে মজাও করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। টুইটারে কেউ কেউ সেই খুদে দর্শককে পরামর্শ দিয়েছেন, পদকটা যতেœ রেখো, মরিনহোর হারের পদক বিরল। স্বয়ং মরিনহোর কাছে অবশ্য এই পদকের দাম নেই। তিনি বলেন, হ্যাঁ পদক ছুড়ে মেরেছি। আমি হারের পদক চাই না। এগুলো সংরক্ষণও করি না, তাই দিয়ে দিয়েছি। রোমার সঙ্গে ২০২৪ সালে মরিনহোর চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। ভবিষ্যতের প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কয়েক মাস আগেও বলেছিলাম। অন্য কোনো ক্লাব যোগাযোগ করলে সেটা মালিককেই আগে বলতাম। আমি কোনো কিছু গোপন করি না। গত ডিসেম্বরে পর্তুগাল থেকে যখন প্রস্তাব এসেছিল, তখনই ক্লাবকে জানিয়েছিলাম। এর পর থেকে কারও সঙ্গে কথা হয়নি।

×