ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নারী ফুটবল দলে নতুন মুখ সুইডেন প্রবাসী আনিকা

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:০২, ১৭ মার্চ ২০২৩

নারী ফুটবল দলে নতুন মুখ সুইডেন প্রবাসী আনিকা

সুইডেন প্রবাসী বাংলাদেশী নারী ফুটবলার আনিকা সিদ্দিকী

বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন অনেকবারই বলেছেন, ফুটবলকে প্রথমে এশীয় মানে এবং পরে বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়াই তার লক্ষ্য। জাতীয় দলের শক্তি বাড়ানোর জন্য বিশ্বের অনেক দেশেই ভিনদেশী ফুটবলারদের দলভুক্ত করার নজির আছে।

বাংলাদেশও এ পথে হাঁটার চেষ্টা করেছে। নাইজিরিয়ান এলিটা কিংসলেকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে ইতোমধ্যেই জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী ফুটবলারদেরও জাতীয় দলে খেলানো হয়েছে। এদের মধ্যে ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভুঁইয়া এবং ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজী অন্যতম। 
জাতীয় নারী ফুটবল দলের শক্তি বাড়াতে সচেষ্ট বাফুফে। ইতোমধ্যেই দলে নেয়া হয়েছে জাপানি বংশোদ্ভূত (মা জাপানি, বাবা বাংলাদেশী) মাতসুশিমা সুমাইয়াকে। এবার আরেকজনের ওপর নজর পড়েছে বাফুফের। তিনি আনিকা সিদ্দিকী, যিনি সুইডেন প্রবাসী বাংলাদেশী।  
আগামী এপ্রিলে মিয়ানামারে অলিম্পিক বাছাই ফুটবলে অংশ নেবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী দল।

গ্রুপে বাংলাদেশ ছাড়াও আছে স্বাগতিক মিয়ানমার, মালদ্বীপ ও ইরান। এই আসরকে ফোকাস করে বাংলার বাঘিনীদের দলের শক্তিমত্তা বাড়াতে আনিকা সিদ্দিকীকে দলে নেবে বাফুফে। সেই লক্ষ্যে অনেকদূর এগিয়েও গেছে দেশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা বাফুফে। জানা গেছে- মিয়ানমারে গিয়ে সাবিনা-কৃষ্ণাদের সঙ্গে সরাসরি যোগ দেবেন আনিকা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অলিম্পিক বাছাই  ফুটবলে ডেব্যু হয়ে যেতে পারে ১৭ বছর বয়সী আনিকার, যার প্লেয়িং পজিশন ফরোয়ার্ড।

তার সম্পর্কে বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘আনিকার খেলার ভিডিও দেখেছি। মনে হয়েছে টেকনিক্যালি সে ভালো ফুটবলার। যেহেতু সে সুইডেনের বড় ক্লাবে খেলছে, সে কারণে তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। আমরা তাকে অলিম্পিক বাছাই দলে সরাসরি সুযোগ করে দিতে যাচ্ছি।’
আনিকার জন্ম সুইডেনে। সেখানেই বড় হয়েছেন তিনি। সুইডেনের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব আএফ ব্রোম্মাপোকারনায় খেলছেন। স্বীয় নৈপুণ্যে প্রজ্ব¡লিত হয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনায় চলে এসেছেন। তাছাড়া তার ক্লাবটি ইউরোপের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ দল। ইচ্ছে করলেই সুইডেনের হয়ে খেলতে পারেন আনিকা। সেই যোগ্যতা তার আছে। কিন্তু নিজের মাতৃভূমিকে অনুভব করেন এই সুদর্শনা ফুটবলার। তাইতো বাংলাদেশের জার্সিেেত খেলার আকুলতা রয়েছে তার।

তার এই আকুলতার কথা পৌঁছে গেছে বাফুফের কাছে। তার খেলার ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে আনিকাকে পছন্দ করে ফেলেছে বাফুফে। ফলে অচিরেই যে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন, তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। কাজেই বাংলাদেশ ফুটবল দলে জামাল-তারিকদের মতো আনিকাও হতে যাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফুটবলার।

×