ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ

কাল কে হবে সেরা-যশোরের বেনাপোল, নাকি নীলফামারীর ছমির উদ্দিন স্কুল

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ৫ জুলাই ২০২২

কাল কে হবে সেরা-যশোরের বেনাপোল, নাকি নীলফামারীর ছমির উদ্দিন স্কুল

দুই ফাইনালিস্ট দলের অধিনায়ক নাইম ইসলাম এবং সাইদুর রহমান রাহুল

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) তত্বাবধানে বাফুফে জাতীয় স্কুল ফুটবল কমিটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায়বাফুফে জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর এবারের আসর একেবারে শেষের পথে। আর বাকি আছে মাত্র একটি খেলা, আর সেটি ফাইনাল, যা অনুষ্ঠিত হবে কাল বুধবার। ফাইনালে শিরোপার জন্য লড়বে যশোরের বেনাপোল মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় এবং নীলফামারীর ছমির উদ্দিন স্কুল এ্যান্ড কলেজ। ঢাকার পল্টনের আউটার স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি।

যুব ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন ফাইনাল খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী বিজিত দলের খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করবেন। চূড়ান্ত পর্বের সেরা গোলরক্ষক, টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়, চূড়ান্ত পর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা, ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়কে ক্রেস্ট চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি এক লাখ টাকা রানার্সআপ দলকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। এছাড়া বন্যায় শত কষ্টের মধ্যেও হবিগঞ্জের আলী ইদ্রিস হাইস্কুল ঢাকায় খেলতে আসায় তাদের শুভেচ্ছা স্মারক ক্রেস্ট দেয়া হবে। 

এই আসরে ফাইনালিস্ট দুই দলই প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে। তবে নীলফামারীর স্কুলটির সেমিফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা বেশি। নিয়ে তারা সেমিফাইনাল খেলেছে চার বার। এবারের ফাইনালে যদি তারা জিততে পারে, তাহলে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতার পাশাপাশি মধুর প্রতিশোধও নিতে পারবে তারা। কেননা গ্রুপ পর্বে তারা যশোরের বেনাপোল স্কুলের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল - গোলে। ফাইনালেও সেই জয়ের ধারাবাহিকতা রাখতে চান বেনাপোলের কোচ সাব্বির আহমেদ পলাশ।

আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী আমার দল ভালো খেলে জিততে পারবে।দুই দলের অধিনায়ক (দুজনেই আবার স্ট্রাইকারও বটে) সাইদুর রহমান রাহুল নাইম ইসলাম নিজ নিজ দলকে শিরোপা উপহার দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। বেনাপোলের কোচ সাব্বিরের মুখে তার অধিনায়ক রাহুলের প্রশংসা ঝরেছে অনেক। নীলফামারীর স্কুলের কোচ আব্দুল ওহাব বলেন, ‘গ্রুপ পর্বে তাদের কাছে হারলেও সেমিফাইনালে তাদের এক স্ট্রাইকার লাল কার্ড পাওয়ায় ফাইনালে খেলতে পারবে না। এটা আমাদের কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা দেবে।বেনাপোলের কোচ সাব্বির এই প্রসঙ্গে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সেমির ওই ম্যাচে আমার ওই স্ট্রাইকার হাত দিয়ে বল ধরায় রেফারি তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান। এটা ঠিক হয়নি। তিনি তাকে মৌখিক সতর্ক করতে পারতেন কিংবা শুধু হলুদ কার্ড দেখাতে পারতেন।’  

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ফুটবলের মান তলানিতে। তবে ঘরোয়া পর্যায়ে অনেক ফুটবলারের অসাধারণ স্কিল দেখা যায় মাঝে মধ্যে। বিষয়টি জানিয়ে স্কুল ফুটবলের চেয়ারম্যান বিজন বড়ুয়া বলেন,‘ আসলেই এই স্কুল ফুটবলে অনেক ভালো মানের ফুটবলার রয়েছে। মেসি-রোনালদো স্টাইলে অনেক খেলোয়াড় গোল করেছে। সাব্বির ভাই মুন্না ভাইয়ের স্টাইলে অনেককে খেলতে দেখেছি। তারা ফুটবলের সঙ্গে থাকলে অবশ্যই ভবিষ্যত সাব্বির, মুন্না বেরিয়ে আসবে।তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা বাফুফের কোচের মাধ্যমে ৭০-৮০ জনের তালিকা করেছি। সেই তালিকা ডেভলপমেন্ট কমিটিকে দেব। তারা সেই তালিকা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্পের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

এবারের আসরটি শুরু হয়েছিল গত ১২ মে থেকে, দেশের ৮টি ভেন্যুতে ৫১ জেলার ৫১টি স্কুল ফুটবল দলকে নিয়ে। আঞ্চলিক পর্বের খেলাসমূহ শেষ হয় ২৬ মে। আঞ্চলিক পর্বের ভেন্যু থেকে ৮টি স্কুল চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়। চূড়ান্ত পর্বের খেলাসমূহ ঢাকার পল্টনের আউটার স্টেডিযামে এবং কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মো. মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ২৮ জুন থেকে শুরু হয়।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, বাফুফে সদস্য ইলিয়াস হোসেন, বাফুফে জাতীয় স্কুল ফুটবল কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান এজাজ মো. জাহাঙ্গীর।

×