ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকায় এএফসি অনুর্ধ-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাই শুরু আজ

সিঙ্গাপুরকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের ফুটবলাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:০৫, ৪ অক্টোবর ২০২২

সিঙ্গাপুরকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের ফুটবলাররা

দুই অধিনায়ক সিঙ্গাপুরের কেগান পাং ও বাংলাদেশের ইমরান খান

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) ব্যবস্থাপনায় ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ, ইয়েমেন, সিঙ্গাপুর ও ভুটান দলের অংশগ্রহণে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে এএফসি অনুর্ধ-১৭ এশিয়ান কাপের (ই-গ্রুপ) বাছাইপর্বের খেলা। ভেন্যু ঢাকার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম। উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠিত হবে দুটি ম্যাচ। দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তারা মোকাবেলা করবে সিঙ্গাপুরকে। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এর আগে বিকেল ৪টায় উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইয়েমেন বনাম ভুটান।
এই আসরের চূড়ান্ত পর্ব আরম্ভ হবে ২০২৩ সালে ৩-২০ মে পর্যন্ত। তবে স্বাগতিক দেশ এখনো ঠিক হয়নি। বয়সভিত্তিক দলের টুর্নামেন্টগুলোয় বাংলাদেশ বরাবরই সমীহ জাগানিয়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করে থাকে। গত সেপ্টেম্বরে বাহরাইনে স্বাগতিকদের রুখে দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ-২০ জাতীয় ফুটবল দল। সেই আসরে তারা ভুটান ও নেপালকে হারালেও হারে কাতারের কাছে। এর আগে জুলাইয়ে ভারেেতর ভুবনেশ্বরে স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল এই যুবারা।

অনুর্ধ-১৭ দল শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনাল খেলে আসে। ওই দুটি আসরেই বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি। মঙ্গলবার টুর্নামেন্ট উপলক্ষে বাফুফে ভবনে আয়োজতি সংবাদ সম্মেলনে পল বলেন, ‘ঘরের মাঠে ছেলেরা ভালো খেলবে। এটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ছেলেরা অনেক উন্নতি করেছে এবং আরও ভালো পারফরম্যান্স করবে। এই আসরে ছেলেদের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ হবে।

তাছাড়া নিজেদের ভাল এবং খারাপ দিকগুলো শনাক্তও করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ পাবে তারা। মোট কথা, ইতিবাচক পরিবর্তন, উন্নতি ও উন্নয়নই আমদের লক্ষ্য।’
পল আরও বলেন, ‘কমলাপুরের টার্ফটি খুব দ্রুতগতির। এটিকে আমাদের সুবিধা হিসেবে কাজে লাগাতে চাই। দলের সবাই সুস্থ ও ফিট আছে। আমাদের গ্রুপে ইয়েমেনকেই সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী মনে করছি। এর পরেই রাখবো সিঙ্গাপুরকে।’ বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ইমরান খান বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো।

ঘরের মাঠে খেলা হচ্ছে এবং আমরা ভালো করার জন্য মুখিয়ে আছি। আমরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একই মাঠে অনুশীলন করছি। দলের সবাই জানে কী করতে হবে এবং কোথায় করতে হবে।’ ইমরান আরও বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের রক্ষণভাগ বেশ শক্তিশালী। তবে আমরা স্বাভাকি খেলাই খেলবো। আমাদের সব খেলোয়াড়ই ফিট আছে। আমরা ভালো করতে চাই এবং বাছাইপর্বে জিতে মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে চাই।’
সিঙ্গাপুর কোচ এ্যাঞ্জেল তোলেদানো বলেন, ‘আমরা আবার বাংলাদেশ এসেছি খেলতে। খেলার জন্য উত্তেজিত। আমাদের লক্ষ্য প্রতিযোগিতামূলক খেলা। এবং অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটিয়ে নিজেদেরকে আরও উন্নত করা। আশা করছি আমার ছেলেরা তাদের সেরাটাই দেবে এবং ভাল করবে।’ এ্যাঞ্জেল আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের ম্যাচ আমরা বিশ্লেষণ করেছি। তারা অবশ্যই ভাল দল। তাদের সমীহ করেই খেলবো।

আমরা টার্ফ এবং ঘাস দু’ধরনেই মাঠেই খেলে অনুশীলন করে এসেছি। এবং নিজেদেরকে সেভাবেই প্রস্তুত করেছি। আগে কখনো আমরা মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করিনি। আশাকরি এবার তা করতে পারবো।’ সিঙ্গাপুর অধিনায়ক কেগান পাং বলেন, ‘ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। আশা করি এটি সবার জন্য একটি ভাল পরীক্ষা হবে।’
ইয়েমেন কোচ আলবাদানি মোহাম্মেদ বলেন, ‘আমরা এখানে প্রথমবারের মতো আসতে পেরে খুবই উত্তেজিত। আসার আগে বেশ প্রিপারেশন নিয়ে এসেছি। সৌদি আরবে পশ্চিম এশিয়ান টুর্নামেন্ট জিতেছি। কায়রোতে বেশ কয়েকটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচও খেলেছি। এই এশিয়ান গ্রুপে অনেকবারই কোয়ালিফাই করেছি। আশাকরি এবারও করতে পারব। এই আসরে ২০১৯ সালে ১০-১ গোলে ভুটানকে এবং বাংলাদেশকে ৩-১ গোলে হারানোর অভিজ্ঞতা আছে।’

ইয়েমেন অধিনায়ক এসাম রাদমান বলেন, ‘আমরা এখানে এসে খুব খুশি. আমরা এখানে চ্যাম্পিয়ন হতেই এসেছি। অনেকদিন ধরেই আমাদের দেশটি যুদ্ধবিধ্বস্ত। ৩০ মিলিয়ন ইয়েমেনির মুখে আমরা হাসি ফোটাতে চাই সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে।’  ভুটান কোচ হিদেহারু তাকাশাহি বলেন, ‘এখানে এসে বিকেএসপির বিপক্ষে ২টি অনুশীলন ম্যাচ খেলেছি। জিতেছি যথাক্রমে ২-১ ও ৫-১ গোলে। অন্য দলগুলো ভালোই। বাংলাদেশ খুবই দ্রুতগতির দল।’ ভুটান অধিনায়ক কিনযাং তাশি তোবদেন বলেন, ‘আমরা ১৭ থেকে ১৮ দিনের মতো প্রস্তুতি নিয়েছি। টুর্নামেন্টের জন্য তৈরি এবং একটি সাফল্যের জন্য উন্মুখ।’

×