ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সিপিএল শেষ, এবার সাকিবের মিশন বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:১১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

সিপিএল শেষ, এবার সাকিবের মিশন বাংলাদেশ

সাকিব আল হাসান

এশিয়া কাপের পর ব্যর্থতা নিয়ে দেশে ফেরে বাংলাদেশ। এই আসর থেকেই এবার বাংলাদেশ টি২০ দলের নেতৃত্ব নতুন করে ফিরে পান বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ব্যর্থতার ভার নিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএল) খেলতে যান তিনি। আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টি২০ সিরিজ তাই খেলা হয়নি তার। তবে এখন সিপিএল অভিযান শেষ হয়েছে সাকিবের। তার দল গায়ানা এ্যামাজন ওয়ারিয়র্স টানা দুই ম্যাচ হেরে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রথম কোয়ালিফায়ারের পর বাংলাদেশ সময় অনুসারে বৃহস্পতিবার ভোরে হওয়া দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও হেরে ছিটকে গেছে গায়ানা। জ্যামাইকা তালাওয়াহস ৩৭ রানে জিতেছে। উভয় ম্যাচে ব্যাটে-বলে নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব। অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা নিয়েই এবার সিপিএল শেষ, এখন সাকিবের মিশন বাংলাদেশ দলের হয়ে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে সরাসরি তিনি নিউজিল্যান্ডে গিয়ে টি২০ দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। ৩ অক্টোবর তার দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা।

সেখানে বিশ্বকাপের আগে ৭-১৪ অক্টোবর ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে আবার টি২০ দলের অধিনায়ক হয়েছেন সাকিব। নেতৃত্বে ফেরার মিশনটা ভাল হয়নি তার। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচেই হেরে ছিটকে গেছে দল। এরপর আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের আগে দলগত প্রস্তুতির জন্য শুধু নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজটাই বাকি ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু অনুশীলনে আরও বাড়তি কিছুটা যোগ করতেই আমিরাত সফরে ২ ম্যাচের সিরিজ খেলে দল। এই সিরিজে খেলেননি সাকিব। তিনি খেলেছেন সিপিএল, তার অবর্তমানে সহঅধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান দিয়েছেন নেতৃত্ব।

সিরিজটা ২-০ ব্যবধানে জিতে স্বস্তি নিয়েই ফিরেছে বাংলাদেশ। তাই নিউজিল্যান্ডে কিছুটা প্রত্যয়ী দলকেই পাবেন সাকিব। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার প্র্যাকটিস হয়েছে দলের, আর সাকিবের অনুশীলনটা আরও ভাল হয়েছে সিপিএলে আরও তীব্রতর প্রতিযোগিতায় তারকাদের সঙ্গে খেলে। এবার সিপিএলে মিশ্র অভিজ্ঞতা হয়েছে সাকিবের। তিনি যোগ দেয়ার আগে ৬ ম্যাচ খেলে গায়ানা মাত্র ১ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের নিচেই ছিল। কিন্তু সাকিব যোগ দেয়ার পর টানা ৪ জয়ে প্রাথমিক রাউন্ডে দ্বিতীয় সেরা দলে পরিণত হয়।
যদিও সাকিব তার খেলা প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে গোল্ডেন ডাক এবং বল হাতে যথাক্রমে ১ ও ২টি উইকেট নেন। কিন্তু পরের দুই ম্যাচেই ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা হন তিনি। নিজের খেলা তৃতীয় ম্যাচে ২৫ বলে ৩৫ রান ও বল হাতে ২২ রানে ৩ উইকেট এবং চতুর্থ ম্যাচে ৩০ বলে ৫৩ রান ও বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন। কিন্তু কোয়ালিফায়ারে দুই ম্যাচই বেশ বাজে কেটেছে সাকিবের, দলও হেরেছে। 

×