ওপেনিং ও নেতৃত্বের প্রশ্নে সুজনের উত্তর
অনেক নাটকীয়তার পর আসন্ন এশিয়া কাপ দিয়ে টি২০’র নেতৃত্বে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। লিটন দাস, ইয়াসির আলি রাব্বির ইনজুরিসহ বিভিন্ন কারণে স্কোয়াডেও এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। সদ্য সমাপ্ত জিম্বুইয়ে সফরের দলে যেখানে চার-পাঁচজন ওপেনার ছিলেন, সেখানে এশিয়া কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরে স্বীকৃত ওপেনার মাত্র দুজন, তাও আবার তারা দলের নিয়মিত বা অপরিহার্য সদস্য নন।
এনামুল হক বিজয় এবং পারভেজ হোসেন ইমন। জিম্বাবুইয়েতেই নুরুল হাসান সোহানের ইনজুরিতে ফেরানো হয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকেও। সোমবার মিরপুরে এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
মাত্র দুইজন ওপেনার প্রসঙ্গে চমক জাগানো তথ্য দিয়েছেন তিনি। সুজন বলেছেন, প্রয়োজনে সাকিব-মুশফিককে দিয়েও ওপেনিং করানো হতে পারে, ‘স্বীকৃত ওপেনার এখানে আছে বিজয় (এনামুল) ও পারভেজ ইমন। তবে বাকি অনেকেই কিন্তু লোকাল ক্রিকেটে ওপেন করেছে। আমরা ওভাবেই ভাবছি। মুশফিক হতে পারে, সাকিবও হতে পারে। মিরাজ হতে পারে, শেখ মেহেদিও ওপেন করেছে। সুতরাং অনেক অপশন আছে আমাদের হাতে।’
পাশাপাশি সাবেক এ অধিনায়ক জানিয়েছেন এই মুহূর্তে নেতৃত্বের জন্য সাকিবের চেয়ে ভাল বিকল্প আর ছিল না, ‘রিয়াদের সঙ্গেও কথা হয়েছে সাকিবের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আমি যেহেতু এখন দলের সঙ্গে জড়িত কথা তো হবেই। কথা না বলার কিছু নাই। বোর্ডের একটা অবস্থান ছিল যে সাকিব যেহেতু এই ফরম্যাটে বেশি অভিজ্ঞ, ওর অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ওর পারফরম্যান্স সব মিলিয়ে আমাদের মনে হয়েছে সেই-ই সেরা পছন্দ সত্যি কথা বলতে গেলে।
বিষয়টা এমন না যে রিয়াদ খারাপ, তবে হয়তো রিয়াদের চেয়ে সাকিবকে সেরা বিকল্প মনে হয়েছে।’ উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ে সফরের আগে নেতৃত্ব কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি মাহমুদুল্লাহকে টি২০ দল থেকেই ছেটে ফেলা হয়েছিল। অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো তরুণ নুরুল হাসান সোহানকে। লিটনের সঙ্গে সোহানও ইনজুরিতে পড়লে ওয়ানডে দলের সঙ্গে থাকা মাহমুদুল্লাহকে হঠাৎই সেখানে টি২০ স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আর বেটউইনার ইস্যুতে সাকিবের সঙ্গে যখন ব্যাপক ঝামেলা চলছিল তখন এশিয়া কাপের অধিনাযক হিসেবে সেই মাহমুদুল্লাহর নাম উঠে এসেছিলো। সব সময় বিপদের বন্ধু অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের দেশের প্রতি নিবেদনের প্রশংসাও করেছেন সুজন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ২৭ আগস্ট শুরু এশিয়া কাপ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৩০ আগস্ট, আফগানিস্তানের বিপক্ষে।