চোখের গড়ন ও রং বুঝে মেকআপ করুন। লেন্স লাগিয়ে রং পরিবর্তন করলে
শ্যাডোও হতে হবে মানানসই। আই শ্যাডোর বিস্তারিত-
শ্যাডোর বৈচিত্র্য
বাজারে রয়েছে নানা রঙের আইশ্যাডো। যেমন- হলুদ, লাল, অরেঞ্জ, বেগুনি, নীল, ল্যাভেন্ডার, মিডিয়াম প্লাম, বারগ্যান্ডি, সিলভার, কালো ইত্যাদি। চোখে রংবাহারী সাজ চাইলে একই সঙ্গে ব্যবহার করা যায় না রঙের শ্যাডো। এটি এখন ট্রেন্ড। যে রঙের শ্যাডোই লাগান না কেন, মাথায় রাখুন সময়ের কথা। দিনে চোখে লাগাতে পারেন আর্থ বা বেইজ রং, যেমন- গাঢ় বাদামি, ছাই, পিচ, মভ ইত্যাদি। রাতে সব রঙের শ্যাডোই ব্যবহার করা যায়। যেমন- অরেঞ্জ, বেগুনি, রেড, হলুদ, গ্রীন, নীল, ডিপ ম্যাজেন্টা ইত্যাদি। আইশ্যাডোর বদলে লাগাতে পারেন কালারফুল গ্লিটারও। অনেকেই সারাদিন কাজের পর রাতের কোন অনুষ্ঠান বা পার্টিতে যেতে হলে তৈরি হওয়ার জন্য আলাদা সময় পান না। তারা দিনের বেলায় যে রঙের আইশ্যাডো লাগিয়েছিলেন, তার ওপর ভেজা ব্রাশ দিয়ে রংটা গাঢ় করে নিতে পারেন। চেষ্টা করুন ব্যাগে মেকআপ কিটস রাখার।
ত্বকের ধরন বুঝে
আইশ্যাডোর রং বাছাইয়ে ত্বক, চোখ, চুল আর পোশাকের রংকে প্রাধান্য দেয়া হয়। এসবের ধরন মেনে বেছে নিন আইশ্যাডোর রং।
* যাদের গায়ের রং ফর্সা, তারা যে কোন রঙের আইশ্যাডো লাগাতে পারেন। তবে দিনে নির্বাচন করুন, যে কোন হাল্কা রং। রাতে গাঢ় রংই ভাল। যেমন- বেগুনি, সবুজ, নীল, কালো, লাল, ল্যাভেন্ডার, মিডিয়াম প্লাম, গোলাপি, গাঢ় বাদামি ইত্যাদি।
* যারা শ্যামলা, তারা নিতে পারেন ত্বকের রঙের চেয়ে এক শেড হাল্কা শ্যাডো। যেমন- সোনালি, সিলভার, গাঢ়, বেগুনি, বারগ্যান্ডি, বাদামি, পিচ, মভ ইত্যাদি।
* কৃষ্ণকলিদের জন্য হাল্কা শেড। তবে গাঢ় শেড লাগানো যাবে না, এমন কোন কথা নেই। সময় আর পরিবেশ বুঝে লাগালে অবশ্য লুকে আসবে নতুনত্ব।
যেভাবে লাগাবেন
আইশ্যাডো লাগানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন শ্যাডো বেইজ, স্পঞ্জ, ব্রাশ। এছাড়া আঙ্গুল দিয়েও শ্যাডো লাগাতে পারেন।
* ক্রিম শ্যাডো লাগাতে পারেন আঙ্গুল বা স্পঞ্জ দিয়ে। পাউডার শ্যাডো হলে ব্যবহার করুন ব্রাশ।
* চোখের নিচে কালো দাগ বা রেখা দূর করতে চোখের মেকআপের আগে ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে কনসিলাল লাগান। নাকের পাশে ও ব্রণে কনসিলার ব্লেন্ড করুন ভালোভাবে।
* পাতার উপরে চোখের কোনা থেকে আইব্রো পর্যন্ত আই প্রাইমার লাগান। এতে আইশ্যাডো অনেক সময় স্থায়ী হবে।
* পাপড়ি কিনারা থেকে চোখের উপরের পাতার ভাঁজ পর্যন্ত তিন-চার রঙের শ্যাডো লাগান।
* এবার চোখ খুলে চোখের ভাঁজের রেখা বরাবর একই রঙের শ্যাডো একটু গাঢ় করে টেনে নিন।
* আইশ্যাডো ব্রাশ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে আইব্রোর ঠিক নিচে ব্রো-বোনের বাইরের অংশে সিলভার, সাদা বা হাল্কা সোনালি হাইলাইটার ব্যবহার করতে পারেন।
যেমন চোখ তেমন শ্যাডো
চোখের যে কোন খুঁত ঢাকতে আইশ্যাডোর জুড়ি নেই। চোখের শেপ বুঝে শ্যাডো লাগালে সাজে আসে ভিন্নতা।
* যাদের দু’চোখের দূরত্ব কম, তারা নাকের কাছাকাছি থেকে চোখের ভেতরের দিকে শ্যাডো লাগান। এজন্য বাছুন হাল্কা রঙের শ্যাডো।
* দু’চোখের দূরত্ব বেশি যাদের, তারা চোখের ভেতরের অর্ধেক অংশজুড়ে যে কোন রঙের মাঝারি থেকে গাঢ় শ্যাডো লাগান। আর বাইরের অংশে ওপর থেকে নিচে ব্লেন্ড করে আস্তে আস্তে হাল্কা করে মিশিয়ে নিন।
* যাদের চোখ ছোট, তারা বাছাই করুন হাল্কা রঙের শ্যাডো। যেমনÑ প্লাম, ব্রোঞ্জ, ধূসর, বাদামি, কালো, বেগুনি, গোলাপি, সবুজ ইত্যাদি।
* যাদের পাতা ও আইব্রোর মাঝখানের অংশের দূরত্ব কম, তারা শ্যাডো লাগাবেন চোখের বাইরের কিনারা ঘেঁষে।
* যাদের চোখে ভাঁজ আছে বা চোখ বসা, তারা রাউন্ড শেপে শ্যাডো লাগান। সৌজন্যে : ক্যানভাস