
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি সমাজের নানা ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এআই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবীর কাজের ধরন বদলে দিচ্ছে। এর প্রভাবে অনেক পেশার প্রাথমিক স্তরের চাকরি সংকুচিত হচ্ছে, একই সঙ্গে নতুন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস জেনারেশন জেড বা জেন-জিদের তরুণ প্রজন্মকে এআই প্রযুক্তির ব্যবহারে সতর্ক করে বলেছেন, শুধু এআই টুল শেখা যথেষ্ট নয়, এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং ক্রমাগত শিখতে থাকা প্রয়োজন।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘আমি একসময় পদার্থবিজ্ঞান জানতে চাইলে অভিজ্ঞদের কাছে যেতাম, এখন ডিপ রিসার্চ করে নিজেই তথ্য জোগাড় করি। ফলে অনেক অভিজ্ঞতা আর প্রয়োজন হয় না। যদিও শেখার সুযোগ অনেক, যেমন খান একাডেমি ইত্যাদি, তবুও শুধু এআই জানা মানে চাকরি নিশ্চিত নয়।’
গেটস আরও বলেন, বর্তমান সময়ে এআই ব্যবহারের ফলে প্রাথমিক বা এন্ট্রি লেভেলের চাকরির বাজারে ভারসাম্য ভাঙছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের চাকরির বিজ্ঞাপন প্রায় ৩৫ শতাংশ কমেছে। এর ফলে নবীন শিক্ষার্থীরা কম পদের জন্য প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে।
তিনি তরুণদের উৎসাহ দিয়ে বলেন, ‘এআই প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে, তবে শুধু প্রযুক্তি জানলেই হবে না, কাজে মানিয়ে নেওয়া, মানসিক বুদ্ধিমত্তা এবং হাতে-কলমে দক্ষতা অর্জন জরুরি। প্রযুক্তি জানায় দক্ষতা ও সৃজনশীলতা দেখাতে পারলে নিয়োগকর্তারা বেশি গুরুত্ব দিবেন।’
বিল গেটসের এই বক্তব্য তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পাশাপাশি, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার দিকেও গুরুত্বারোপ করেছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রাকিব