
ছবি: সংগৃহীত
ধর্মীয় বিশ্বাস ও বিজ্ঞানের যুক্তিনির্ভর চিন্তা প্রায়ই সমান্তরাল পথে চলে না। বিজ্ঞান যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে সত্য অনুসন্ধান করে, অন্যদিকে ধর্মীয় বিশ্বাস অনেক সময় অদৃশ্য সত্তার অস্তিত্বকে মেনে নেয়। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা প্রায়ই প্রশ্ন তোলেন—যাকে চোখে দেখা যায় না, তাকে কীভাবে বিশ্বাস করা যায়?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডক্টর উইলিসুন এক বিস্ময়কর দাবি করেছেন। সিএনবিসি টিভি ১৮-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ড. সুন গাণিতিক সূত্রের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণের তত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন।
ড. সুনের গবেষণা “সূক্ষ্ম সামঞ্জস্য” (Fine-tuning) তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে গঠিত। এই ধারণা অনুসারে, পদার্থবিজ্ঞানের সুনির্দিষ্ট নিয়মগুলো এত নিখুঁতভাবে জীবনের উপযোগীভাবে সাজানো যে, তা নিছক দৈবক্রমে ঘটতে পারে না। তাঁর মতে, মহাবিশ্বের মৌলিক ধ্রুবকগুলো সামান্যতম পরিবর্তন হলেও জীবন সম্ভব হত না। এটি মহাবিশ্বের অসাধারণ নকশার প্রমাণ বহন করে।
গবেষণায় তিনি ১৯৬৩ সালে ক্যামব্রিজের বিখ্যাত পদার্থবিদ ও গণিতবিদ *পল দিরাকের* তত্ত্বের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন। দিরাক বলেছিলেন, প্রকৃতির অন্যতম মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো—পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলো অত্যন্ত সৌন্দর্য ও শক্তিশালী গাণিতিক তত্ত্ব দিয়ে বর্ণনা করা সম্ভব। তাঁর ভাষায়, “সৃষ্টিকর্তা যেন উচ্চস্তরের একজন গণিতবিদ, যিনি উন্নত গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন।”
ড. সুন মনে করেন, মানুষের জীবনে আলোর পথ দেখানো অসংখ্য শক্তির উদাহরণ রয়েছে, যা সৃষ্টিকর্তা মানুষের কল্যাণের জন্য প্রদান করেছেন। তাঁর মতে, এই বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক প্রমাণ ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যে সমন্বয়ের সম্ভাবনা নতুনভাবে উন্মোচন করে।
ছামিয়া