
ছবিঃ সংগৃহীত
মোবাইল সিম কেনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ গ্রাহকই শুধু নাম্বারের নতুনত্ব বা আকর্ষণীয়তা দেখে সিদ্ধান্ত নেন। তবে বেশিরভাগ সময় তারা বিবেচনা করেন না যে সিমটি রিসাইকেল করা হয়েছে কি না। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, রিসাইকেল সিম কেনার ফলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ও ব্যক্তিগত ব্যবহারে জটিলতার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
মোবাইল অপারেটর ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, রিসাইকেল সিমে আগের মালিকের তথ্য থাকার কারণে বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে বাধা দেখা দেয়। এছাড়া, পুরানো মালিকের নাম বা পরিচয় নিয়ে আননোন কল আসা ও নানা ধরনের বিরক্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, কোন সিম টানা ১৫ মাস ব্যবহার না করলে তা রিসাইকেলে চলে যায় এবং পুনরায় বাজারে বিক্রির জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। সুতরাং, ব্যবহৃত সিম পুনরায় বিক্রি হতে পারে, যার ফলে নতুন ক্রেতারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হন।
রিসাইকেল সিম চেক করার জন্য মোবাইল অপারেটর রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক তাদের ওয়েবসাইটে বিশেষ চেকিং সিস্টেম চালু করেছে, যেখানে গ্রাহকরা সহজেই নাম্বারটি রিসাইকেল কিনা তা যাচাই করতে পারেন। তবে বাংলালিংক ও গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা নেই, তাই গ্রাহকদের নতুন সিরিজের সিম কেনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে ০১৩ সিরিজ এবং বাংলালিংকের ক্ষেত্রে ০১৪ সিরিজের নতুন সিম কেনাই নিরাপদ। পুরানো সিরিজ যেমন ০১৭ (গ্রামীণফোন) ও ০১৯ (বাংলালিংক) থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য রিসাইকেল সিম কিনতে হলে সাবধানতা অবলম্বন করার পাশাপাশি বিকল্প নতুন সিম কেনা শ্রেয় বলেও তারা জানান।
মারিয়া