
ভারতের আহমেদাবাদে ২৪২ আরোহী নিয়ে বৃহস্পতিবার বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে বিজে মেডিক্যাল কলেজের একটি ছাত্রাবাসের ওপর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। লন্ডনগামী বিধ্বস্ত বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের বিমানটির ২৪২ আরোহীর মধ্যে ২৪১ জনই নিহত হয়েছেন। এক ব্রিটিশ নাগরিক জীবিত আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আহমেদাবাদ পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক।
বিমানটিতে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডীয় এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়া বিধ্বস্ত বিমানটিতে গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিও ছিলেন। এদিকে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে টাটা গ্রুপ। বৃহস্পতিবার টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
অন্যদিকে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে যে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে (ছাত্রাবাস) আছড়ে পড়ে সেখানকার আহত ৫০ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদিকে বিমান দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ বিশ্ব নেতারা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, বিবিসি ও এনডিটিভির।
ফ্লাইট রাডারের তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেটি থেকে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় উড়োজাহাজটি ৬২৫ ফুট ওপরে ছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ছাত্রাবাসের ওপর প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত পাঁচ মেডিক্যাল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র ও একজন পিজিটি (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট রেসিডেন্ট)।
চিকিৎসকদের সংগঠন ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (ফাইমা) জানায়, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে বেশিরভাগ যাত্রীকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ছাড়া হোস্টেলে অবস্থানরত কয়েক শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের খোঁজও মিলছে না বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। নিহতদের মধ্যে চারজন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট এবং একজন পিজি রেসিডেন্ট ছিলেন। এ ছাড়া আরও অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের উদ্ধারকারী বাহিনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহমেদাবাদের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বিধি চৌধুরী রয়টার্সকে বলেছেন, দুর্ঘটনায় ২৯৪ জন মারা যাওয়ার তথ্য তারা পেয়েছেন। এদিকে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণ দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এক্সে লিখেছেন, এ মুহূর্তে আমরা কতটা ব্যথিত সেটি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এবং যাদের প্রিয়জন আহত হয়েছেন তাদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি ও তাদের জন্য প্রার্থনা করছি।
নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি রুপি করে দেওয়ার পাশাপাশি এ দুর্ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের সবার চিকিৎসার ব্যয় বহনের ঘোষণাও দিয়েছে টাটা গ্রুপ। এয়ার ইন্ডিয়ার এ বিমানটি আছড়ে পড়ে আহমেদাবাদের বিজে মেডিক্যাল কলেজে। টাটা গ্রুপ জানিয়েছে, কলেজটি পুনর্গঠনে তারা সহায়তা করবে। এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর পরই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মোদি লিখেছেন, আহমেদাবাদের ট্র্যাজেডি আমাদের স্তব্ধ ও শোকাহত করেছে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অন্যদিকে ভারতের আহমেদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রী ও তাদের পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা রয়েছে।
এক বিবৃতিতে স্টারমার বলেন, লন্ডনের গ্যাটউইকের পথে থাকা একটি বিমান ভারতের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বহু ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন। দুর্ঘটনার দৃশ্যগুলো অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। তিনি আরও বলেছেন, পরিস্থিতির অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে নিয়মিত অবহিত করা হচ্ছে।
এদিকে আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে যেকোনোভাবে সহায়তা করার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই দুর্ঘটনাকে ‘বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবথেকে ভয়াবহ’ ক্র্যাশগুলোর অন্যতম বলে মন্তব্য করেছেন। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ‘ইস্ট রুমে’ একটি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে। রানওয়ে ছেড়ে বের হওয়া এবং বিমান বিধ্বস্তের ওই সময়ের মধ্যে কী ঘটেছিল, তা নিয়েই এখন চলছে বিশ্লেষণ। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে বিমানটিতে যাত্রী, ক্রু সদস্য এবং পাইলটসহ ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। হতাহতের বিষয়টি এখনো স্পষ্ট হয়নি। যদিও অনেক গণমাধ্যম দাবি করছে, এ দুর্ঘটনায় ২৪১ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে, বেঁচে ফিরেছেন একজন। তবে সরকারিভাবে এখনো মৃতের সংখ্যা জানানো হয়নি।
দুপুর ১টা ৩০ থেকে ১টা ৪০ মিনিটের মধ্যে কী হয়েছিল, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ওড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১। বিমানটি তখন রানওয়েতেই ছিল। উপগ্রহ চিত্র বলছে, ওই সময় রানওয়ের শেষ প্রান্ত ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল বিমানটি। তখনো বিমানের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর যোগাযোগ ছিল। বিমানবন্দর ছেড়ে বেরিয়ে যায় ফ্লাইট এআই ১৭১। তখনো বিমানের সঙ্গে এটিসির যোগাযোগ ছিল। পাইলট বিপদ সংকেত পাঠান এটিসিকে। কয়েক সেকেন্ডেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমান তখন ৬২৫ ফুট ওপরে। বিমানটি বিধ্বস্ত হয় মেঘানিনগরে।
ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি যখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬৫০ ফুট ওপরে ছিল, সেই সময়েই সেটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানটি মিনিটে ৪০০ ফুট গতিতে নিচে নেমে আসছিল। তার পরেই লোকালয়ে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি যখন দ্রুতগতিতে নিচে নেমে আসছিল, সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাইলটের হাতে এক মিনিটও সময় ছিল না। বিমান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, সেই সময়ে সেটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬২৫ ফুট উঁচুতে ছিল। যদি বিমান ৩৫ হাজার ফুট ওপরে থাকত, তা হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় পেতেন পাইলট এবং ক্রু সদস্যরা।
কিন্তু এক্ষেত্রে রানওয়ে ছেড়ে ওড়ার পর মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতায় বিমানটি উঠেছিল। ফলে পাইলট কোনো কিছু করার সুযোগই পাননি। ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে বিমানটি রানওয়ে ছাড়ার পর পরই এটিসিকে মে ডে কল করেন পাইলট। কিন্তু বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও আর জবাব পাওয়া যায়নি। ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য বলছে, যে বিমানটি ভেঙে পড়ছে সেটি ভিটি-এএনবি। বিমানটি বৃহস্পতিবার সকালেই দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে আসে। তার পর সেটি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
উড্ডয়নের পর পাঁচ মিনিট যেতে না যেতেই লোকালয়ে ভেঙে পড়ে উড়োজাহাজটি। কী কারণে এমনটি ঘটল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে দুর্ঘটনার ভিডিও দেখে এক বিশেষজ্ঞের ধারণা, পূর্ণ উড্ডয়নের সময় পাখি আঘাত হেনেছিল উড়োজাহাজে। এ জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি হারিয়ে সেটি ভূমিতে আছড়ে পড়ে। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পর অনেকটা দুলতে দুলতে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি এগিয়ে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই এটি নিচের দিকে নামতে থাকে।
এরপর একটি ভবনের (মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল) ওপর গিয়ে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। কালো ধোঁয়ার কু-লীতে ছেয়ে যায় চারদিক। সেই ভিডিওর বিশ্লেষণ করে বিমান চলাচলবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সৌরভ ভাটনাগর সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, বিমানটি উড্ডয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত এটিতে কয়েকটি পাখি আঘাত হেনেছিল। এতে করে পূর্ণ উড্ডয়নের জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন ছিল বিমানটি সেটি হারিয়ে ফেলেছিল। ফলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও বিমানটি আর উপরের দিকে নিতে পারেননি পাইলট। সৌরভ ভাটনাগর একজন সাবেক বৈমানিক।
তিনি বলেন, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দারুণভাবেই প্লেনটি ফ্লাই করেছে, নিখুঁতই ছিল। কিন্তু ল্যান্ডিং গিয়ারটি ওপরে তোলার আগেই প্লেনটি নিচে নামা শুরু করে। এমনটি সাধারণত হয় যখন ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় অথবা বিমান আকাশে থাকার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে।
দেড় লাখ লিটার তেল পুড়েছে॥ ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখান থেকেই তিনি জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত বিমানটিতে ১.২৫ লাখ লিটার জ্বালানি ছিল এবং অত্যধিক তাপমাত্রার কারণেই যাত্রীদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা জানান অমিত শাহ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের অমিত শাহ বলেন, বিমানটিতে ১.২৫ লাখ লিটার জ্বালানি ছিল। তাপমাত্রা ছিল অত্যধিক। ফলে কাউকেই বাঁচানোর সুযোগ পাওয়া যায়নি।
মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য গুজরাট প্রশাসন যাত্রীদের পরিবারের কাছে ডিএনএ নমুনা চেয়েছিল। শাহ জানান, উদ্ধারকাজ প্রায় শেষ। প্রায় প্রতিটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা মৃতদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছি। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বিদেশি নাগরিক যারা ছিলেন, তাদের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তাদের ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করব।
অমিত শাহ জানিয়েছেন, ডিএনএ পরীক্ষার কাজ যৌথভাবে করবে কেন্দ্রীয় এবং গুজরাটের রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাব। ডিএনএ পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করা যাবে। এই দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বকুমার রমেশের সঙ্গেও দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রধান উপদেষ্টার শোক ॥ ভারতের আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহষ্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো শোক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমদাবাদে ২৪২ আরোহীসহ এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান দুর্ঘটনার মর্মান্তিক সংবাদে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই মর্মান্তিক ঘটনায় যেসব পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই’।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এই দুঃসময়ে আমাদের চিন্তা ও প্রার্থনায় রয়েছে দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি ও তাদের প্রিয়জনরা। আমরা ভারতের জনগণ এবং সরকারের পাশে আছি। প্রয়োজনে সব ধরনের সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছি।