
ছবি: সংগৃহীত
উন্নত প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই যুগে চ্যাটজিপিটির মতো চ্যাটবট আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বড় সহায়ক হয়ে উঠেছে। তবে এর সব সুবিধার মাঝেও কিছু ঝুঁকি রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চ্যাটজিপিটিকে নিচের পাঁচ ধরনের তথ্য কখনোই শেয়ার করা উচিত নয়:
১. ব্যক্তিগত পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য (PII)
নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা, ফোন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ইত্যাদি শেয়ার করলে চুরি বা প্রতারণার ঝুঁকি বাড়ে। সাইবার অপরাধীরা এসব তথ্য দিয়ে পরিচয় চুরি বা ফিশিং অ্যাটাক চালাতে পারে।
২. আর্থিক ও ব্যাংকিং তথ্য
ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চ্যাটজিপিটিতে শেয়ার করা বিপজ্জনক। এসব তথ্য ফাঁস হলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।
৩. পাসওয়ার্ড ও লগইন তথ্য
অনলাইন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বা ইউজারনেম শেয়ার করা মানে নিজের ডিজিটাল পরিচয়ের নিয়ন্ত্রণ হারানো। নিরাপত্তার স্বার্থে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করুন এবং এসব তথ্য গোপন রাখুন।
৪. গোপন বা ব্যক্তিগত তথ্য
ব্যক্তিগত সম্পর্ক, স্বাস্থ্য, পারিবারিক বা অফিসিয়াল গোপনীয়তা শেয়ার করলে তা অনিচ্ছাকৃতভাবে ফাঁস হয়ে যেতে পারে। এতে আপনার ব্যক্তিগত বা পেশাগত সম্মান হুমকিতে পড়তে পারে।
৫. বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি বা গোপন আইডিয়া
স্বত্বাধিকার সংক্রান্ত লেখা, উদ্ভাবনী আইডিয়া, ব্যবসায়িক গোপন তথ্য ইত্যাদি শেয়ার করলে তা চুরি বা অপব্যবহারের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
তথ্য নিরাপত্তা কেন গুরুত্বপূর্ণ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্ল্যাটফর্মের ঝুঁকি থাকা স্বাভাবিক। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১ লাখের বেশি পেইড চ্যাটজিপিটি অ্যাকাউন্টের তথ্য ডার্কওয়েবে বিক্রি হয়েছে। এ ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করার আগে সতর্ক থাকা জরুরি।
সঠিক সচেতনতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে আমরা চ্যাটজিপিটির সুবিধা নিতে পারি, কিন্তু নিজের তথ্য সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।
আবির