ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিমানের ধ্বংসে ২০০ প্রাণহানি, একাই বেঁচে ফিরলেন বিশ্বাস কুমার!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:০১, ১৩ জুন ২০২৫; আপডেট: ০০:১২, ১৩ জুন ২০২৫

বিমানের ধ্বংসে ২০০ প্রাণহানি, একাই বেঁচে ফিরলেন বিশ্বাস কুমার!

ছবি: সংগৃহীত

আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০০ জন যাত্রী। তবে আশ্চর্যজনকভাবে, ওই বিমানের এক যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

আহমেদাবাদ পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক জানান, বিমানের ১১এ নম্বর সিটে থাকা যাত্রী অলৌকিকভাবে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান। ফ্লাইট ম্যানিফেস্ট অনুযায়ী, ওই আসনে ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক বিশ্বাস কুমার রমেশ।

ব্রিটেনে অবস্থানরত তার চাচাতো ভাই অজয় ভালগি বলেন, রমেশ ফোন করে পরিবারকে জানিয়েছেন তিনি নিরাপদে আছেন, তবে বিমানে থাকা তার ভাই অজয়ের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

রমেশের ভাই নায়ন রমেশ বলেন, "আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারছি না কীভাবে সে বিমান থেকে বের হয়ে এলো। এই মুহূর্তে আমরা চরমভাবে শোকাহত ও উদ্বিগ্ন।"

ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, রমেশ রক্তাক্ত মুখ নিয়ে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পরিবেশের মধ্য দিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন।

স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল হলেও মানসিকভাবে ভীষণভাবে বিপর্যস্ত।

এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত বিমানে মোট ২৩১ জন আরোহী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ ও একজন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ দম্পতি আকিল নানাবাওয়া, তার স্ত্রী হান্না ভোরাজি এবং তাদের কন্যা সারা।

জানা গেছে, বিমানটি আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে উড্ডয়ন করে। কিন্তু উড্ডয়নের মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই এটি একটি চিকিৎসা স্টাফদের আবাসনে আছড়ে পড়ে, যার ফলে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে।

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস এক শোকবার্তায় বলেন, “এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি আমাদের হৃদয়স্পর্শী প্রার্থনা ও সমবেদনা রইল।”

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার দুর্ঘটনাটিকে ‘বিধ্বংসী’ বলে অভিহিত করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “এই ট্র্যাজেডি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।”

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর জরুরি সহায়তা টিম গঠন করেছে এবং লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্বজনদের জন্য একটি সহায়তা কেন্দ্রও খোলা হয়েছে।

এ মুহূর্তে দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই হঠাৎ নিচে নেমে আসে এবং প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিধ্বস্ত হয়।

Mily

×