
ছবি: প্রতীকী
বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায়ী অনলাইনে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চান, কিন্তু অনেকেই কম খরচে এসইও সার্ভিস নেওয়ার চেষ্টা করেন। এই সস্তা সার্ভিস নেওয়ার ফলে অনেক সময় তাদের ব্যবসায় কোনো দীর্ঘমেয়াদি সুফল আসে না, বরং বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
সস্তা এসইও সার্ভিস না নেওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো— এসইও এজেন্সিগুলো কম খরচে কাজ করতে গিয়ে নিম্নমানের লেখক নিয়োগ করে। এসব লেখক সাধারণত মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে ব্যর্থ হন, যার ফলে ওয়েবসাইটের সার্চ র্যাংকিংয়ে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়ে না। বরং, অনেক ক্ষেত্রে নিম্নমানের কনটেন্টের কারণে ওয়েবসাইট গুগলের আপডেটের শিকার হয়ে নিচে নেমে যায়।
তদুপরি, সস্তা সার্ভিস প্রদানকারী এজেন্সিগুলো সাধারণত স্বল্পমূল্যের ব্যাকলিংক ব্যবহার করে, যা ওয়েবসাইটের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে। গুগল এখন অত্যন্ত উন্নত অ্যালগরিদম ব্যবহার করছে, যা নিম্নমানের ব্যাকলিংক চিহ্নিত করতে সক্ষম। ফলে এসব ব্যাকলিংক ওয়েবসাইটের ক্ষতি করতে পারে এবং এমনকি গুগল থেকে পেনাল্টি পাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
আপগ্রাফ এসইও কোম্পানির ফাউন্ডার শারীফ সিদ্দিকী আরও বলেন, “আমাদের কাছে অনেকেই এসইও সার্ভিস চান, কিন্তু বেশিরভাগই সস্তা সার্ভিস খোঁজেন। তারা এটা বুঝতে চান না যে এত কম দামে ভালো ট্যালেন্ট দিয়ে এই কাজগুলো করা সম্ভব নয়। ভালো এসইও করতে হলে মানসম্পন্ন কনটেন্ট, উন্নত লিংক বিল্ডিং এবং দক্ষ ম্যানেজমেন্টের দরকার, যা কম খরচে সম্ভব নয়।”
সস্তা এসইও সার্ভিসের আরেকটি সমস্যা হলো— এসব এজেন্সিগুলো সাধারণত অদক্ষ লোকবল নিয়োগ করে, যারা এসইওর মৌলিক নীতিগুলোর সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখে না। ফলে তারা এমন কিছু কৌশল প্রয়োগ করে, যা সাময়িকভাবে ফল আনতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে ওয়েবসাইটের ক্ষতি করে।
একজন ব্যবসায়ীর উচিত— কম খরচের চিন্তা না করে তার ওয়েবসাইটের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় রেখে গুণগত মানসম্পন্ন এসইও সার্ভিস নেওয়া। ভালো মানের কনটেন্ট, অর্গানিক ব্যাকলিংক এবং পেশাদারদের দ্বারা পরিচালিত একটি এসইও ক্যাম্পেইন দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হবে এবং ব্যবসায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এম.কে.