ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৬ চৈত্র ১৪২৯

ডিজিটাল মার্কেটিং ও কন্টেন্ট ক্রিয়েশনে সফল ফাহিম

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩

ডিজিটাল মার্কেটিং ও কন্টেন্ট ক্রিয়েশনে সফল ফাহিম

ফাহিম আহমেদ চৌধুরী

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে সফলভাবে কাজ করে নিজের প্যাশনকে অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া একজন ফাহিম আহমেদ চৌধুরী। ছোটবেলা থেকেই তথ্য-প্রযুক্তি প্রেমী ছিলেন ফাহিম। ডিজিটাল ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করতে করতেই তার বেড়ে ওঠা। ২০১৬ সালে শীতের সময় নিজেরই কলেজ নটরডেমে প্রি-অর্ডার নিয়ে বিক্রয় করেছিলেন লেটারম্যান জ্যাকেট। সেখান থেকে অন্যান্য স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যাকেট তৈরি করে সিজনাল কাজ দিয়ে হাতেখড়ি তার। সেখানে তিনি খুজে পান নিজেকে। মার্কেটিংকে নিজের প্যাশন হিসেবে তৈরি করেন। ২০১৮ সালে কলেজ গ্র্যাজুয়েশনের পর নিজেই তৈরি করেন একটি স্টার্টআপ, যার নাম ছিল ওলিক। সেই স্টার্টআপ থেকে বুটক্যাম্প করে জিতেছিলেন ১০ লক্ষ টাকার প্রাইজ মানিও।

এরপরই ঝড় আসে ফাহিমের জীবনে। ১০ লক্ষ টাকা প্রাইজমানি নিয়েও ব্যর্থ হয় তার স্টার্টআপ। এরপর আরো ৩ জন অংশীদার সহ প্রতিষ্ঠা করেন “ফিস এন্ড ফ্রাই’স” নামের রেস্টুরেন্ট। যেখানে তিনি বিনিয়োগ করেছিলেন সে সময়ের সকল জমানো অর্থ। প্রথম তিনমাস খুব ভাল চললেও করোনা ধাক্কায় বন্ধ করতে বাধ্য হন সেটিও।

এতকিছুর পরেও নিজের প্যাশনকে আগলে ধরে বেড়ে উঠতে চেষ্টা করেছেন ফাহিম। দ্বিতীয়বার ব্যর্থ হবার পর স্টার্টআপ ছেড়ে যখন প্যাশনে ফেরত আসলেন, এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ফাহিমকে। শুরুতে কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে কাজ করেন তিনি। অল্প টাকায় কাজ শুরু করে নিজের কাজের দর বাড়িয়েছেন সময়ের সাথে সাথে। একটা সময়ে নিজেই বাল্ক আকারে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ বিদেশ থেকে এনে করিয়েছেন দেশের মানুষকে দিয়ে। এই কাজে সফল হয়ে এসইও বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করে নাম কামিয়ে সবার শেষে করেছেন এড রান বা মিডিয়া বায়িং এর কাজ। শুরুতে ১০ হাজার টাকার এড রান করে একটা সময়ে ২-৩ কোটি টাকার এডও রান করিয়েছেন। এভাবে বিভিন্ন কোম্পানি, রেস্টুরেন্টে মিডিয়া বায়িং এর কাজ পেতে থাকেন ফাহিম। বর্তমানে তিনি এসইও ক্লায়েন্টদের জন্য এসইও পরিষেবাগুলিতে ফোকাস করা দুটি সংস্থার মালিক।

তিনি ২০১৯ সালে গ্রামীণফোন প্রি-অ্যাক্সিলারেটর প্রোগ্রামের একজন ফেলো গ্র্যাজুয়েটও হয়েছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের প্রথম অগমেন্টেড রিয়েলিটি বুকলেট উপস্থাপন ও চালু করেন যা ২০১৯ সালের ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উদ্বোধন করেন। পরবর্তী বছরে তিনি জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ওয়ান ইয়াং ওয়ার্ল্ড সামিটে বাংলাদেশের প্রতিনিধি এবং রাষ্ট্রদূত হন।

নিজের স্কিল ডেভলমেন্ট সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফাহিম এক শব্দে বলেছেন “ব্যর্থতা”। বার বার ব্যর্থ হওয়াই তাই স্কিলকে ডেভেলপ করেছে এবং তিনি আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছেন। ফাহিম মনে করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে অধিকাংশ ব্যবসায় একাডেমিক গ্রেডের পরিবর্তে দক্ষতার ভিত্তিতে লোক নিয়োগ করবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটা সময়ের সাথে আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর সেজন্যই তার ডিজিটাল মার্কেটিং ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে স্থান পাবে বলেই বিশ্বাস ফাহিমের।

নতুনদের ব্যাপারে বলতে গিয়ে ফাহিম বলেন, যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। বর্তমান বাজারে একটি সমস্যা হলো কাজ করার জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞতা এবং অভিজ্ঞতার জন্য প্রয়োজন কাজ। তাই কোনো একটি বিষয়ে প্রয়োজনে শুরুতে ফ্রি কাজ করে সেই বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করে আস্তে আস্তে নিজের কাজের পরিধি বাড়িয়ে প্যাশনকে বাস্তব করতে হবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ফাহিম বলেন, আমার স্বপ্ন হলো ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই কর্মক্ষেত্র থেকে অবসর নেয়া এবং সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ানো। আমি চাই তরুণরা আমার মতই কন্টেন্ট তৈরি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে সফলভাবে নিজের পায়ে দাড়ায়।
 

 

রহিম

শীর্ষ সংবাদ:

জেসমিনের মৃত্যু, মেজরসহ র‍্যাবের ১১ সদস্য ক্লোজড
গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল না দিলে সরকারি-বেসরকারি সংযোগ বিচ্ছিন্ন
বৈধ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে কমবে না বিদ্যুতের দাম
ঈদে ফেরিতে ছয় দিন ট্রাক পারাপার বন্ধ
দেশে এখন কেউ না খেয়ে দিন কাটায় না: ওবায়দুল কাদের
স্বল্প আয়ের মানুষদের কাছে কম দামে মাছ মাংস বিক্রি
রমজান ও ঈদে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ আইজিপির
সাংবাদিকতা নয়, মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
৫ এপ্রিল থেকে মেট্রোরেলের নতুন সময়সূচি
বৈকালিক চেম্বারের কার্যক্রম উদ্বোধন, হাসপাতালের তালিকা প্রকাশ
ভিকারুননিসার ২ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জাহাঙ্গীরের মেয়র পদে ফেরার রায় পেছাল আদালত
সিরিয়ায় ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা