
পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেছেন, শুধু একটি নির্বাচনের জন্যই জুলাই যোদ্ধারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেননি। শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা জীবন দিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, এখনও প্রশাসনের ভেতরে অনেক ‘আওয়ামী দালাল’ ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাই নির্বাচনের আগে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে—তবেই জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) পিরোজপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে "জাতীয় মুক্তি দিবস" উপলক্ষে আয়োজিত মিছিল ও সমাবেশে এসব কথা বলেন মাসুদ সাঈদী। সকাল ১১টায় পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিলাস চত্বরে গিয়ে সমাবেশে পরিণত হয়।
সমাবেশে মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, ২০২৪ সালের ১ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। অথচ এক বছরের মধ্যে আজ সে দলের সব কার্যক্রমই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের আগে জামায়াতে ইসলামীর সাত দফা মেনে নিতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে জনসমক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তার বিচার করে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রাজাকার বলে যারা এতদিন গলা ফাটিয়েছিল, আজ তারাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এখন আবার নতুন একটি দল ‘রাজাকার’ ইস্যু তুলে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
জাতীয় মুক্তি দিবসের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আমির অধ্যক্ষ তফাজ্জল হোসেন ফরিদ। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা শেখ আব্দুর রাজ্জাক।
বক্তব্য দেন জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, হিন্দু ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র সাহা প্রমুখ।
সমাবেশে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলার কয়েক হাজার জামায়াত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
সজিব