
ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ
চরফ্যাসন উপজেলায় স্মরণকালের বড় গণমিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। ৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচি ‘জুলাই গণঅভ্যূত্থানের’ এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশকে জামায়াতের ‘শক্তি প্রদর্শন’ হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন ভোলা-৪ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ও ভোলা জেলার সাবেক আমির অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল। তিনি হাত নেড়ে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে অভিবাদন জানান।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গন থেকে মিছিল শুরু হয়ে সদর রোড হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনতা রোড হয়ে সমাবেশে স্থলে মিলিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চরফ্যাসন উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মীর মোঃ শরীফ হোসেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভোলা-৪ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল।
সমাবেশে প্রধান অতিথি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে একশ্রেণির মানুষ চাঁদাবাজি শুরু করেছে। এর দায় কোনো নির্দিষ্ট দলের ওপর চাপাতে চাই না। তবে জনগণ আগামী নির্বাচনে এসব চাঁদাবাজদের প্রত্যাখ্যান করবে।’
তিনি আরো বলেন, “২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্ট বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখার জন্য বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সব কয়টা দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জুলুম করেছে জামায়াতে ইসলামীর উপর এবং জুডিসিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর বড় বড় নেতাদের হত্যা করা হয়েছে।”
উপজেলা আমির অধ্যক্ষ মীর শরীফ হোসেন বলেন, ‘আমরা কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। ‘জুলাই আন্দোলনের মূল দাবি ছিল ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন। তবে তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ইসলামি আদর্শ ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র সম্ভব নয়। আওয়ামী সরকার বিদায়ের পর দেশে এখনো ফ্যাসিবাদী আচরণ, দুর্নীতি ও বৈষম্য চলমান। এছাড়া তিনি জুলাই শহীদদের বিচার ও আহতদের চিকিৎসা, পূণর্বাসন দাবী করেন। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাও: আবুল কাশেম, সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট এনামুল হক রায়হান, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল হাসান এমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মহিবুল্লাহ, পৌর আমীর অধ্যাপক মামুন আলমসহ উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ।
নোভা