ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করতেই নিরপরাধ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে: মাহমুদুল হাসান

ইমরানুল হক, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ৬ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ০৯:০৫, ৬ আগস্ট ২০২৫

জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করতেই নিরপরাধ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে: মাহমুদুল হাসান

ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতাদের বিচারবহির্ভূতভাবে ফাঁসি দিয়ে দলটিকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী। 

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আনোয়ারায় আয়োজিত গণমিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

অধ্যাপক মাহমুদুল বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বারবার ১৯৭১ সালের চেতনার কথা তুলে ধরে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষ সেই চেতনার রাজনীতিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন চেতনার নামে প্রতারণার রাজনীতি আর চলবে না। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগই প্রকৃত রাজাকারের দল। শেখ মুজিবুর রহমানের করা দালাল আইনের আওতায় যাদের নাম তালিকাভুক্ত ছিল, তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের লোক। অথচ জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করতেই আমাদের নিরপরাধ কেন্দ্রীয় নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জামায়াত ও শিবিরকে নির্মূল করা যাবে না—কারণ দেশপ্রেমিক জনগণ আজও জামায়াতকে মুক্তির পথ হিসেবে দেখে। 

দেশের যুবসমাজের অবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে যাদের বয়স ৩০, তারা গত ১৭ বছরে একবারও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তারা চেয়েছিল ভোটাধিকার, কোটা সংস্কার ও চাকরিতে ন্যায্য সুযোগ। অথচ সরকার তাদের ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা চালিয়েছে। যার ফলেই শেখ হাসিনাকে শুধু পদত্যাগ নয়, দেশত্যাগও করতে হয়েছে। 

ভবিষ্যতের প্রত্যাশা প্রসঙ্গে অধ্যাপক মাহমুদুল বলেন, জামায়াতে ইসলামী এই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে একটি আদর্শ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছে। এজন্য আমরা জনগণের সহযোগিতা চাই। 

গণমিছিল-পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আনোয়ারা উপজেলা জামায়াতের আমীর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আব্দুল গনি। সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাস্টার আবুল হাসান খোকা। 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল মোস্তফা ও কর্ণফুলী উপজেলা জামায়াতের আমীর মুনির আফসার চৌধুরী। 

এর আগে বিকেল ৫টায় আনোয়ারা উপজেলা জামায়াত কার্যালয় থেকে একটি বিশাল গণমিছিল শুরু হয়ে কালাবিবির মোড় প্রদক্ষিণ করে টানেল মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। গণমিছিলে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

নোভা

×