
ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ইয়েনি সাফাক-এ দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লবের অন্যতম অগ্রনায়ক সাদিক কায়েম বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে ভারত বাংলাদেশকে কার্যত একটি উপনিবেশের মতো ব্যবহার করে আসছে। শুধু প্রধানমন্ত্রী হাসিনার শাসনই নয়, বরং ৫ আগস্টের গণহত্যার ঘটনাতেও তারা কার্যত নীরব সম্মতি দিয়েছে। ভারতে মুসলমানদের ওপর চলমান নিপীড়নের বাস্তবতায় তারা দক্ষিণ এশিয়ার ‘ইসরায়েল’-এ পরিণত হয়েছে। আমরা আর তাদের আধিপত্য মেনে নেব না।”
এই সাক্ষাৎকারটি শুক্রবার প্রকাশ করেছে ইয়েনি সাফাক।
সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নে সাদিক কায়েমকে জিজ্ঞেস করা হয়, “সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং ভারত ও চীনের মতো বহির্দেশীয় শক্তির প্রভাব আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন? ভবিষ্যতের কূটনীতিতে আপনার অবস্থান কী?”
জবাবে তিনি জানান, আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে সেনাবাহিনীর কিছু জুনিয়র কর্মকর্তার কাছ থেকে সহানুভূতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তারা বিপ্লবের মূল আদর্শের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। যদিও অনেক সিনিয়র কর্মকর্তা বিগত সরকারের সুবিধাভোগী ছিলেন, তবু নতুন প্রজন্ম রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে এক শক্ত সেতুবন্ধ গড়তে আগ্রহী বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাদিক কায়েম আরও বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গণহত্যায় যাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে—তাদের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই। তারা আইনের আওতায় না আসা পর্যন্ত আমরা কোনো আপস করব না।”
নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। জার্মানির উগ্র ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর মতো তাদেরও স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।”
শিহাব