
ছবি: সংগৃহীত।
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী বছরের প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে, তবে সেই নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, "অতীতের বস্তাপচা পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণ তা মেনে নেবে না।"
বুধবার সিলেটের বিয়ানীবাজারের দাসগ্রাম এলাকায় উপজেলা ও পৌর জামায়াত আয়োজিত জনশক্তি ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, "নির্বাচন কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত হতে হবে। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। প্রবাসীদের শুধু ভোটাধিকার নয়, তাদের ভোটগ্রহণও নিশ্চিত করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, “এই দেশে ৫৪ বছরেও গঠনমূলক অগ্রগতি হয়নি, কারণ চারিত্রিক সম্পদের অভাব রয়েছে। যারা দায়িত্বে থাকে, তারা জনগণের চেয়ে নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। তারা দুদককে ভয় পায়, কিন্তু আল্লাহকে নয়। যদি তারা আল্লাহকে ভয় করতো, তবে দেশ বহু দূর এগিয়ে যেত।”
বর্তমান সরকারের আমলে দেশের বিপুল অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে পাচার হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তার ভাষায়, “এই পাচার হওয়া অর্থ দেশে থাকলে আজ কোনো অর্থনৈতিক সংকট থাকতো না।”
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি সবচেয়ে ভয়াবহ। আমরা মানবিক, ইনসাফভিত্তিক ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই, এবং জামায়াতের নেতৃত্বেই তা সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী বিপ্লবের কৃতিত্ব কোনো একক ব্যক্তি বা দলের নয়। এ বিপ্লব সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। আমরা সব ধর্মের মানুষের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই। ৫ আগস্টের পর জামায়াত হিংসা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি আমরা নিজেরা মন্দির পাহারা দিয়েছি, কোনো হিন্দু বসতিতে আক্রমণ হতে দেইনি।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিয়ানীবাজার উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ফয়জুল ইসলাম। পরিচালনায় ছিলেন আবুল কাশেম ও কাজী জমির হোসাইন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, মহানগর আমীর ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
নুসরাত